IIT Kharagpur: খড়গপুর IIT-তে ফের ছাত্রের মৃত্যু, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ঘটনা

খড়গপুর আইআইটি-তে ফের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। সোমবার রাতে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশের অন্যতম নামী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

Advertisement
খড়গপুর IIT-তে ফের ছাত্রের মৃত্যু, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ঘটনাখড়গপুর আইআইটি-তে ফের এক ছাত্রের মৃত্যু।
হাইলাইটস
  • খড়গপুর আইআইটি-তে ফের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
  • সোমবার রাতে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
  • এক সপ্তাহের মধ্যে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা।

খড়গপুর আইআইটি-তে ফের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। সোমবার রাতে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশের অন্যতম নামী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। 

জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে চন্দ্রদীপ পাওয়ার নামে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়ার  মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। শ্বাসনালীতে ওষুধ আটকে গিয়ে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। 

পুলিশ এবং খড়্গপুর আইআইটি সূত্রে খবর, চন্দ্রদীপ থাকতেন নেহরু হলে। ওই হস্টেলের ডি-৪০৮ রুমে থাকতেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর-সর্দিতে ভুগছিলেন তিনি। রাতে খাওয়ার পরে  চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খান ওই পড়ুয়া। গলায় ওষুধ আটকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে আইআইটি খড়গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিপিআর-ও দেওয়া হয় তাঁকে। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই মৃত পড়ুয়ার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে  বলে জানানো হয়েছে আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে।

অন্য দিকে, কিছু দিন আগেই খড়গপুর আইআইটি-র একটি ঘর থেকে এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের নাম ঋতম মণ্ডল (২৫)। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। 

শুক্রবার এই শিক্ষা কেন্দ্রের রাজেন্দ্র প্রসাদ হলের ২০৩ নম্বর রুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ঋতমর দেহ উদ্ধার করা হয়। বন্ধুরা তাঁকে ডাকতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সাড়া না দেওয়ায় IIT কর্তৃপক্ষকে খবর দেন সহপাঠীরা। কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে খড়গপুর টাউন থানার অধীনস্থ হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘর থেকে ঋতমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঋতমের দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল। ঋতমের বাড়ি কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়। এটা আত্মহত্যার ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement