এবারও দুর্গা পুজোও জেলেই কাটবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। 'নিম্ন আদালতের বিচারককে হুমকি দিয়েছেন অনুব্রত', জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সওয়াল সিবিআইয়ের। তথ্য দিতে সিবিআইকে ৩ সপ্তাহ সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। জবাব দিতে অনুব্রতকে এক সপ্তাহ সময় দিলেন বিচারপতি। ৪ সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।
অনুব্রতর এবারের পুজোও জেলে কাটবে বলেই আগেই আশঙ্কা করেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। পাশাপাশি তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও পুজোর সময় জেলেই থাকতে চলেছেন। সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার জামিনের আবেদনের শুনানি চার মাস পিছিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এবছরের পুজোটা তিহাড় জেলের ছ'নম্বর সেলেই কাটাতে হবে তাঁকে।
গরুপাচার মামলায়, গতবছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও জেলবন্দি অনুব্রত। প্রথমে বাংলাতেই ছিলেন অনুব্রত। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী, মামলার উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আদালতে যুক্তি দেখান তদন্তকারীরা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষ মেশ দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই হয় অনুব্রতর। তাঁর কন্যা সুকন্যাও সেখানেই রয়েছেন।
শুধুমাত্র অনুব্রত বা সুকন্যাই নন, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও জেলে রয়েছেন। একাধিক বার খারিজ হয়েছে তাঁর জামিনের আর্জিও। গরু পাচারের টাকা লগ্নির ক্ষেত্রে সায়গল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। অভিযোগ, সায়গল নিজের প্রভাব খাটিয়ে পাচারকারীদের সাহায্য করেছিলেন। পাচারের টাকা থেকে সায়গল লাভবান হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।