Anubrata Mondal: অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হল না রাজ্যের মন্ত্রীকে, দরজা থেকেই বিদায় আরেক MLA-কেও

বীরভূমের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, বীরভূমের তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফেরার পরই চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটে যায়। রাজ্যের মন্ত্রী এবং বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না।

Advertisement
অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হল না রাজ্যের মন্ত্রীকে, দরজা থেকেই বিদায় আরেক MLA-কেওচন্দ্রনাথ সিনহা এবং বিকাশ রায় চৌধুরীকে ঢুকতে দেওয়া হল না।-ভিডিও থেকে
হাইলাইটস
  • বীরভূমের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল।
  • কারণ, বীরভূমের তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফেরার পরই চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটে যায়।

বীরভূমের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, বীরভূমের তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফেরার পরই চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটে যায়। রাজ্যের মন্ত্রী এবং বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না।

অনুব্রত মণ্ডল দীর্ঘ সময় পরে বাড়ি ফিরেছেন এবং তার এই প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই বীরভূম জেলার রাজনীতিতে একটা অদ্ভুত গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। আজকের ঘটনাটি সেই সম্ভাবনার জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল। সকালে চন্দ্রনাথ সিনহা এবং বিকাশ রায় চৌধুরী অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছিলেন। তবে কেষ্ট দা বাড়িতে প্রবেশ করার পর অন্যান্যদের অনুমতি দেওয়া হলেও এই দুই নেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বীরভূমে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বিশেষত চন্দ্রনাথ সিনহা এবং বিকাশ রায় চৌধুরীর মতো নেতারা যখন প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না, তখন অনুব্রত মণ্ডলের রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

যদিও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য নেতাদের মতে, এটি নিছকই একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল।

এদিকে, বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য সুদীপ্ত ঘোষকে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ভিতরে দেখা যায়। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। এটি আরও ইঙ্গিত দেয় যে, দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে কোনও সমন্বয় বা অভ্যন্তরীণ পুনর্বিন্যাস হতে পারে।

আজকের এই ঘটনা বীরভূমের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় বার্তা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বীরভূমের শাসক দলের অভ্যন্তরীণ সংঘাত কি প্রকাশ্যে আসছে? এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে। তবে আপাতত বীরভূমের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত ও জটিল হয়ে উঠেছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement