১৮ মাস পর ঘরে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। জেলমুক্তির পরই ধীরে ধীরে তৃণমূলে স্বমহিমায় ফিরছেন 'কেষ্ট'। এবার নতুন ইচ্ছের কথা নেত্রীকে জানাতে চান অনুব্রত। কী সেই ইচ্ছে?
সূত্রের খবর, বীরভূমের কোর কমিটি আয়তনে বাড়াতে চান তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। অনুব্রত চান, কমপক্ষে ১৫ জন সদস্য করা হোক কোর কমিটিতে। আর এই ইচ্ছের কথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে চান তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৮ মাস পর ঘরে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারের পর বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার ঠাঁই হয়েছিল দিল্লির তিহাড় জেল। সেপ্টেম্বরে জামিন পান বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তারপরেই জেল থেকে ছাড়া পান তৃণমূলের 'কেষ্ট'। কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে বাড়ি ফেরেনঅনুব্রত। ঘরে ফেরার দিন সংবাদমাধ্যমে অনুব্রত বলেছিলেন, 'সবাই ভাল থাকুক। কোনও বিতর্কে যেতে রাজি নই।'
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে এই মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। অনুব্রতের একের পর এক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায়। উঠে আসে নানা চালকল। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও। কিছু দিন আগে জামিনে মুক্ত হন সুকন্যা। তারপরেই জামিন পান অনুব্রত।
বীরভূম মানেই অনুব্রতের গড় হিসাবে পরিচিত। তবে অনুব্রতের গ্রেফতারির পর বীরভূমে তৃণমূলের ভোট রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়ে, সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। তবে অনুব্রত না থাকলেও গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়ী হয়েছে জোড়াফুল শিবির। অনুব্রত গ্রেফতার হলেও দলীয় পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়নি। ২০২২ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভা থেকে বীরভূমের নেতাদের উদ্দেশে মমতা বলেছিলেন, 'কেষ্ট একদিন জেল থেকে বেরোবেই। সেদিন ওঁকে নায়কের সংবর্ধনা দিয়ে বার করে আনতে হবে।'