scorecardresearch
 

Anubrata Mondal: কেষ্ট জেলে, ৫৬০ ভরি সোনার বদলে ইমিটেশনের গয়না পরিয়ে পুজো অনুব্রতর কালীর

অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজোর এবার আর কোনও জাঁকজমক নেই। গতবছরের মতো এবারও নমো নমো করে পুজো হচ্ছে। বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ের কালীপুজোয় সরাসরি যুক্ত থাকতেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। তাই পুজোর জৌলুসও আর নেই। জানা গেছে পুজো হচ্ছে চাঁদা তুলে। সোনার বদলে প্রতিমাকে পড়ানো হয়েছে ইমিটেশনের গয়না। বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের কালীপুজো মানেই আলাদা আকর্ষণ বোলপুরের তৃণমূল সমর্থকদের কাছে। কারণ, কালীর সাজ।

Advertisement
অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডল।
হাইলাইটস
  • অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজোর এবার আর কোনও জাঁকজমক নেই।
  • গতবছরের মতো এবারও নমো নমো করে পুজো হচ্ছে।

অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজোর এবার আর কোনও জাঁকজমক নেই। গতবছরের মতো এবারও নমো নমো করে পুজো হচ্ছে। বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ের কালীপুজোয় সরাসরি যুক্ত থাকতেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। তাই পুজোর জৌলুসও আর নেই। জানা গেছে পুজো হচ্ছে চাঁদা তুলে। সোনার বদলে প্রতিমাকে পড়ানো হয়েছে ইমিটেশনের গয়না।
বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের কালীপুজো মানেই আলাদা আকর্ষণ বোলপুরের তৃণমূল সমর্থকদের কাছে। কারণ, কালীর সাজ।

প্রতি বছর পুজোয় সক্রিয় ভাবে অংশ নিতেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। পুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উন্মাদনাও থাকত চরমে। পুজোর দিন চারেক আগে ব্যস্ততায় নাওয়া-খাওয়া ভুলতেন তাঁরা। ২০২১ সালের কালীপুজোয় তো প্রতিমার অঙ্গ ৫৬০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিলেন অনুব্রত। শোনা যায়, ওই গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ছিল আড়াই কোটি টাকার ওপরে। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা। কেষ্ট অবশ্য গায়ে মাখেননি। 

কালীপুজোর দিন ‘অন্য রূপে’ দেখা যেত তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করছেন। পুজোর জোগাড়ের কাজে ভুলচুক হলে ধমক দিতেন। ‘কালীমা’কে সাজাতে হবে বলে টেবিলের সামনে গয়না বিছিয়ে বসতেন। বলতেন, কী ভাবে কত মানুষ ‘মা’কে সাজাতে গয়না দান করেছেন। বিপুল অলঙ্কারে সজ্জিত প্রতিমা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতেন বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু এ বার সে সব ফিকে। পরিস্থিতি এমন যে, আগে থেকে কাউকে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না সেখানে।

আরও পড়ুন

অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর অনুব্রত মণ্ডল নিজের হাতে কালী প্রতিমায় গয়না পরাতেন। তখন পুজো নিয়ে অন্য উন্মাদনা ছিল সবার মধ্যে। বীরভূম জেলা তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোয় অংশ নেওয়ার জন্য সমস্ত নেতাকে আহ্বান করা হয়েছে। নেতা এবং কর্মীদের সহযোগিতায় পুজো হবে। তবে কালীর গায়ে আগের মতো বিপুল অলঙ্কার এ বার পরানো হয়নি।

Advertisement

 

Advertisement