বিজ্ঞানই তাঁর প্রথম ভালোবাসা। সেই ভালোবাসাকে পাথেয় করেই দেশের শীর্ষ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল রামপুরহাটের ছাত্র আরসালান আহমেদ। আর সেই পথ পেরিয়েই এবার সরাসরি ইসরোর তরফে প্রশিক্ষণের ডাক পেল সে। রামপুরহাটের সানঘাটা পাড়ার বাসিন্দা এবং একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র আরসালান এখন গোটা পরিবারের গর্ব।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৮ মে তাকে পৌঁছতে হবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। সেখানেই আগামী দুই সপ্তাহ ধরে চলবে ইসরোর তরফে আয়োজন করা বিশেষ প্রশিক্ষণ। আরসালান জানায়, “মার্চ মাসে ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম’-এ অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছিলাম। তারপর সার্টিফিকেট যাচাই, কুইজ এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ৭ এপ্রিল আমাকে নির্বাচিত হওয়ার খবর জানানো হয়।”
ছোট থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি তার আলাদা টান। বিদ্যার্থী বিজ্ঞান মন্থনে জেলার প্রথম স্থানাধিকারী হওয়া থেকে শুরু করে, রিজিওনাল সায়েন্স এক্সিবিশনে রাজ্যস্তরে প্রথম স্থান দখল করে সে। সব ক্ষেত্রেই প্রমাণ করেছে তার মেধা ও উৎসাহ। ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা আরসালানের।
ছেলের এই সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবার। বাবা ইমতিয়াজ আহমেদ, যিনি হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন, বলেন, “ছোট থেকেই ও পড়াশোনায় খুব ভালো। প্রায় সব পরীক্ষাতেই স্কুলে প্রথম বা দ্বিতীয় হয়। খেলাধুলায় খুব একটা আগ্রহ নেই, বই পড়া, বিজ্ঞান চর্চা আর ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বানানোই ওর নেশা। আমরা বিষয়গুলো বুঝি না, তবে স্কুলের শিক্ষকেরা ওকে অনেক সাহায্য করে।”
বিজ্ঞানচর্চার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা আরসালানের এই সাফল্য শুধু তার নিজের জন্য নয়, গোটা বীরভূম জেলার জন্য গর্বের। এখন অপেক্ষা, শ্রী হরিকোটা থেকে ফিরে এসে সে আরও কী কী চমক দেখায়।
সংবাদদাতাঃ শান্তনু হাজরা