মালদায় আসবেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসিবছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর আসন্ন ভোটে ‘সুফল’ ঘরে তুলতে চাইছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি-র রাজনৈতিক দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন’ (মিম)। আর সেই জন্য ‘মিম’-এর টার্গেট মালদা? সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় ২০টির বেশি কার্যালয় খুলেছে ওয়াইসি-র দল। এবার রাজ্য রাজনীতিতে আরও এক বড় খবর। ২০২৬-এর ভোটকে মাথায় রেখে এবার এ রাজ্যের রাজনৈতিক চিত্রে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম বা মিম। জানা যাচ্ছে, মালদা জেলাজুড়ে অধিকার যাত্রা করতে চলেছে তারা। শুধু তাই নয়, জানুয়ারি মাসে ওয়াইসি মালদায় বেশ কয়েকটি সভা করবেন বলেও জানা গিয়েছে। যদিও বিহারের পর বাংলাতেও বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য ময়দানে নেমেছে মিম, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল ও কংগ্রেসের।
জানা যাচ্ছে, মালদা জেলার ১২টি আসনের মধ্যে প্রায় ১০ টি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে মিম। ইতিমধ্যেই জেলায় প্রায় কুড়িটি কার্যালয় খুলেছে তারা। কয়েকদিন আগেই ওয়াকফ নিয়ে মালদা জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিরও আয়োজন করে মিম। এই প্রসঙ্গে মিমের জেলা সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, তাঁরা জেলার প্রায় প্রতিটি আসনেই প্রার্থী দেবেন। মানুষের ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমান শাসকদল মানুষকে ঠকিয়েছে। কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। আইএসএফ-সহ বেশ কিছু দলের সঙ্গে কথা চলছে রাজ্য নেতৃত্বের। যদি জোট হয় তাহলে জোটবদ্ধভাবে লড়বেন তাঁরা। নয়তো এককভাবেই লড়াই করবেন। যদিও তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপির দোসর হিসেবে কাজ করছে এই মিম। মিমকে কার্যত উচ্ছিষ্ট খাবারের সঙ্গে তুলনা করেন তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম বক্সি। অন্যদিকে কংগ্রেসের দাবি, মানুষ মালদা জেলায় কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে, তৃণমূল আসন পাবে না। একইসঙ্গে মিমকেও কটাক্ষ করে কংগ্রেস।
জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে মালদা এবং মুর্শিদাবাদে আসছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। ক'টি আসনে দল লড়বে, সেই সিদ্ধান্ত আলোচনার ভিত্তিতে হবে, জানান এই নেতা। তবে তাঁর দাবি, আট থেকে দশটি আসন টার্গেট করছে তাঁদের দল। এদিকে বিজেপির দাবি, সারা দেশে তারা নিজেদের ক্ষমতায় লড়ে। অন্য কারও সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে না। এক্ষেত্রে মিম আসায় তৃণমূল সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে বলেই দাবি বিজেপির।