"আমি ঝরা মুকুল নই, তৃণমূলে যাব না, বিজেপিতেই থাকব।" মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে সাফ জানিয়ে দিলেন বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ী (Ashok Lahiri)। তবে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য সরকার যদি তাঁর কোনও পরামর্শ চায় তাহলে তা তিনি খুশি মনেই দেবেন বলেও জানান অশোকবাবু। একইসঙ্গে তাঁকে নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আবেদনও জানান বালুঘাটের বিজেপি বিধায়ক।
বিজেপির সঙ্গে অশোক লাহিড়ীর দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে কিছুদিন ধরে রাজনৈতিকমহলে জল্পনা তৈরি হয়। এমনকী উত্তরবঙ্গে দলীর বিধায়কদের নিয়ে যে বৈঠক হয়েছিল তাতেও দেখা মেলেনি তাঁর। যার জেরে গুঞ্জন আরও জোরদার হয়। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটান অশোকবাবু। তাঁর সাফ কথা, আগামী ৫ বছর বিজেপি বিরোধী থাকলে তাদের সঙ্গে বিরোধী আসনেই বসবেন তিনি।
রাজনীতির অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খুব কাছের লোক অশোক লাহিড়ী। এমনকী বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাঁকেই অর্থমন্ত্রী করা হবে বলেও বিভিন্নমহল থেকে শোনা যাচ্ছিল গত বিধানসভা ভোটের সময়। পরবর্তী সময় তাঁকে পিএসি-র চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই পদে বসানো হয় মুকুল রায়।
প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। ভোটের ফল ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে সপুত্র তৃণমূলে (TMC) ফেরেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। তারপর থেকে একে একে পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। সেই হাওয়ায় শোনা যাচ্ছিল অশোক লাহিড়ীর নামও। যদিও এদিন সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন বালুরঘাটের বিধায়াক।