শীতলকুচিতে রক্তলীলা, ভোররাতে TMC নেতা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, প্রেমিকাও হাসপাতালে

প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে বিবাদে প্রেমিকার বাড়িতে ভোর রাতে ঢুকে  ধারালো অস্ত্র হাতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে৷ প্রেমিকার বাবা ও মা কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ৷ আহত হয়েছেন প্রেমিকা ও তাঁর দিদিও। অভিযুক্তকে ঘিরে মারধর করেন গ্রামবাসীরা৷ আহত অবস্থায় তাকেও ভর্তি করা হয়েছে এমজেএন হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে৷ শুক্রবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে শীতলকুচিতে। 

Advertisement
শীতলকুচিতে ভোররাতে TMC নেতা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনআহত তরুণী।
হাইলাইটস
  • প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে বিবাদে প্রেমিকার বাড়িতে ভোর রাতে ঢুকে  ধারালো অস্ত্র হাতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে৷

প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে বিবাদে প্রেমিকার বাড়িতে ভোর রাতে ঢুকে  ধারালো অস্ত্র হাতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে৷ প্রেমিকার বাবা ও মা কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল৷ আহত হয়েছেন প্রেমিকা ও তাঁর দিদিও। অভিযুক্তকে ঘিরে মারধর করেন গ্রামবাসীরা৷ আহত অবস্থায় তাকেও ভর্তি করা হয়েছে এমজেএন হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে৷ শুক্রবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে শীতলকুচিতে। 

মৃত বিমল বর্মন ৬৮ তৃণমূল কংগ্রেসের শীতলকুচি ব্লক এসসি সেলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার মৃত স্ত্রীর নাম নীলিমা বর্মন ৫২৷ আহত হয়েছেন দুই মেয়ে রুনা বর্মন ও ইতি বর্মন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ছোট মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ রায়ের৷ সেই সম্পর্ক মেয়ের পরিবার মেনে নিচ্ছিল না। এই নিয়ে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে ধারালো অস্ত্র হাতে আরও দুই অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে বাড়িতে ঢুকে হামলা করে। দরজা ভেঙে ঘরে অভিযুক্ত প্রেমিক পরিবারের চার সদস্যকে কোপাতে শুরু করে। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে শীতলকুচি মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রেমিকার বাবা ও মাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ জখম প্রেমিকা ও তার দিদিকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ 

অভিযুক্ত যুবককে ঘিরে ফেলে গ্রামবাসীরা মারধর করে। আহত অবস্থায় তাকেও পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা৷ খুনের ঘটনায় প্রেমিকের সঙ্গে জড়িত বাকি দুই অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ।

শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই ঘটনার পরই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা নিতে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারে এই নিয়ে অশান্তিও চলছিল।

জানা গেছে, প্রেমিকার মাকেই সবার আগে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এরপর কোপায় বাবাকে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় প্রেমিকা ও তাঁর দিদিও। একাধিকবার নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে বিমল বর্মন ও তাঁর স্ত্রী নিলীমাকে। চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরে ঢোকেন। তাঁরাই অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলেন। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন-উপাচার্যদের কাজের রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যপালকে, শুরু বিতর্ক

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement