এদের খালাস তো রাজ্য সরকারই করিয়ে দিয়েছে। কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে এমনই মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, 'কামদুনির দোষী সাব্যস্তদের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে। এদের খালাস তো রাজ্য সরকারই করিয়ে দিয়েছে। ধর্ষকদের জন্য উল্টে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এই সরকার। আজ আমরা হাঁটলাম। গতবার আমরা ওই পরিবার এবং প্রতিবাদী মৌসুমি-টুম্পাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করেছি। আজ ওঁরা কলকাতায় আছেন। বিকেলের মিছিলে তাঁরা আমাদের আমন্ত্রণ করেছেন। আমি যদি পারি আজ তাঁদের সঙ্গে দেখা করব। যে কোনও প্রয়োজনে আমরা পাশে রয়েছি।'
প্রায় এক দশক পর ফের কলকাতায় কামদুনি। হাইকোর্টের রায়ে কামদুনির দোষীদের শাস্তি হ্রাস পেয়েছে। আর তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজপথে নেমেছেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। প্রতিবেদন লেখার সময়ে, টুম্পা-মৌসমীদের মিছিল গ্র্যান্ড হোটেল পেরিয়ে গান্ধী মূর্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিন মিছিল চলাকালীন টুম্পা কয়াল কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার আগে টুম্পা কয়াল বলেন, 'যারা দোষী তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আজ পথে নেমেছি সুবিচারের আশায়। আমরা মনে করেছিলাম নিম্ন আদালতের এই রায়টা হাইকোর্টে বজায় থাকবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে তা হল না।'
এদিনের মিছিলে বিরোধী নেতা কৌস্তভ বাগচীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, 'এর আগে আমি বলেছিলাম, অভিষেককে বাঁচানোর জন্য় দিল্লি থেকে বড় আইনজীবী আনা যায়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সরকারের অনীহা। এতদিন পর বড় আইনজীবীর কথা ভাবা হচ্ছে। সাক্ষীর উল্টে খুন হয়েছে। তাও সরকারি তরফে কোনও তৎপরতা নেওয়া হয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার সুবিচারের আশা করব। এর জন্য সর্বোচ্চ আইনজীবীদের নাম দিয়েছি। আমার বিশ্বাস এই ধর্ষকরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন।'
এদিন কলকাতার মিছিলে মৌসুমী কয়াল বলেন, 'CID, পুলিশ প্রশাসনের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে। এর দায় রাজ্য সরকারের। যে ৬২ জন সাক্ষী ছিল, তাদের বয়ান ঠিক করে নেওয়া হয়নি। মাত্র ২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এক সাক্ষীকে খুন করে দেওয়া হয়েছে। ১০ বছর আগে যদি রাজ্য সরকার এই বিষয়ে তৎপর হত, তাহলে আজ এই পরিণতি হত না।'