Kolkata Hilsa Price: দুর্গাপুজোর মুখেই ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল বাংলাদেশ। তবে এবারের কোটা গতবারের তুলনায় অনেকটাই কম। সোমবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, 'ভারতে সর্বোচ্চ ১,২০০ টন ইলিশ পাঠানো যাবে।' ২০২৪ সালে ২,৪২০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ফলে এ বার আগেরবারের অর্ধেকেরও কম ইলিশ আসছে ভারতে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছর ইলিশ রফতানির জন্য কেজি প্রতি মিনিমাম ১২.৫০ মার্কিন ডলার দাম স্থির করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৫২০ টাকা। রফতানিকারীদের নতুন করে আবেদনও করতে হবে। সেই সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, কর সংক্রান্ত নথি এবং মৎস্য দফতরের ছাড়পত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১১ সেপ্টেম্বর।
প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। তাই সীমিত পরিমাণে হলেও প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়। গত বছর প্রথমে ৩,০০০ টন রফতানির কথা ভাবা হলেও, শেষ পর্যন্ত ২,৪২০ টন ইলিশ এসেছিল ভারতে। এ বছর সেটা কমে দাঁড়াল ১,২০০ টনে।
বাংলাদেশ সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ, কোনওভাবেই এই কোটার পরিমাণ ক্রস করা যাবে না। অনেকক্ষেত্রে রফতানিকারীরা পারমিট ট্রান্সফার বা সাব-কন্ট্রাক্টিংয়ের মাধ্যমে নিয়ম এড়িয়ে ঘুরপথে রফতানি করেন। তবে এবার সেই বিষয়ে বাড়তি কড়াকড়ি। প্রয়োজনে সাময়িকভাবে রফতানি বন্ধও করে রাখা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি বাংলাদেশের প্রশাসনের।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'ইলিশ আসছে! উৎসবের মরসুমে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর নিদর্শন হিসেবে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।'
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়ন তৈরি হয়েছে। সেই আবহে ইলিশ রফতানি নিয়ে বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।