Bangladeshi Citizen: নুরুল হক হয়েছিলেন নারায়ণ অধিকারী, দত্তপুকুরে গ্রেফতার ২ বাংলাদেশি

অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে বাংলাদেশি নাগরিক নুরুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ভারতে এসে নাম পাল্টে নারায়ণ অধিকারী নামে পরিচিত হন। এবং ভারতীয় নাগরিক হিসেবে জাল পরিচয়পত্র তৈরির জন্য নথি তৈরি করছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে দত্তপুকুরে বসবাস করছিলেন।

Advertisement
নুরুল হক হয়েছিলেন নারায়ণ অধিকারী, দত্তপুকুরে গ্রেফতার ২ বাংলাদেশিদত্তপুকুর থেকে ধৃত ২ বাংলাদেশি।-ছবি: দীপক দেবনাথ
হাইলাইটস
  • ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে বাংলাদেশি নাগরিক নুরুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
  • সে ভারতে এসে নাম পাল্টে নারায়ণ অধিকারী নামে পরিচিত হন। এবং ভারতীয় নাগরিক হিসেবে জাল পরিচয়পত্র তৈরির জন্য নথি তৈরি করছিলেন।

অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে বাংলাদেশি নাগরিক নুরুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ভারতে এসে নাম পাল্টে নারায়ণ অধিকারী নামে পরিচিত হন। এবং ভারতীয় নাগরিক হিসেবে জাল পরিচয়পত্র তৈরির জন্য নথি তৈরি করছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে দত্তপুকুরে বসবাস করছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে যে, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পর গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, নারায়ণ অধিকারী আসলে নুরুল হক। জিজ্ঞাসাবাদে জানানো হয়েছে যে, সে কয়েক বছর ধরে মাছের ব্যবসা চালাচ্ছিল এবং ভাড়া বাড়িতে বাস করছিল। ওই ভাড়া বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামও একজন বাংলাদেশি নাগরিক, যে কিছু বছর আগে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। এবং জাল নথির মাধ্যমে আধার কার্ড, প্যান কার্ড তৈরি করে জমি কিনে নিজের বাড়ি তৈরি করেছিল।

রফিকুল ইসলাম এবং নারায়ণ অধিকারীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আরও তদন্ত করছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে যে কীভাবে এই জাল নথি তৈরি করা হচ্ছিল এবং কারা তাদের সাহায্য করেছিল।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের অনেক সীমান্ত এলাকায় এখনও বেড়া তৈরি করা হয়নি, তবুও বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী শনাক্ত করতে এবং নজরদারি বাড়াতে কাজ করছে। ২০২৪ সালে দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় ২৪০০টিরও বেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, রফিকুল ইসলামের বাড়িতে প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করছিল নুরুল হক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement