তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ হামিদআগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ইতিমধ্যেই শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরের তরফেই একে অপরকে নিশানা করা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউই কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয়। কখনও কখনও তো রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের তরফে এমন কিছু মন্তব্য উঠে আসছে, যেগুলিকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যাচ্ছে। এই মন্তব্য উঠে এসেছে এক তৃণমূল নেতার মুখ থেকে।
এসআইআর নিয়ে দলীয় প্রচার গাড়িতে থাকা কর্মীদের ধমক চমক দেওয়ার অভিযোগ তুলে খোদ বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে সভা করে বিধায়ককে নজিরবিহীন ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ হামিদের বিরুদ্ধে। বক্তব্য রাখতে উঠে শেখ হামিদ বিধায়কের উদ্দেশ্যে বলেন, 'ধমক চমক দেবেন না। তৃণমূল কর্মীরা লাঠি ধরতে ভুলে যায়নি। শুধু লাঠি ধরা বারণ আছে। একবার লাঠি ধরতে বললে তোমার গাড়ি আস্ত থাকবে না, তোমার টিকি খুঁজে পাওয়া যাবে না, তোমার কর্মীদের খবর নেওয়ার কেউ থাকবে না।'
সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়ার ইন্দাসেও এসআইআর-এর ফর্ম বিতরণ শুরু হয়েছে। আর এই আবহে এসআইআর নিয়ে বিজেপি বিরোধী প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে বিজেপি এসআইআর-এর নামে মানুষকে হয়রান করছে, এই অভিযোগ তুলে রীতিমত টোটোয় চড়ে গোটা ব্লকে প্রচার শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। সেই মতো ইন্দাস থানার কুশমুড়ি গ্রামে তৃণমূলের এই প্রচার টোটো গেলে, টোটোয় থাকা তৃণমূল কর্মীদের স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়া ধমক দেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বিধায়কের গ্রাম কুশমুড়ি বাজারে প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। সেই সভা থেকেই বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে নজিরবিহীনভাবে হুমকি দেন তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক সভাপতি শেখ হামিদ। তিনি বলেন, 'আমরা হার্মাদদের রাস্তায় রাস্তায় ছুটিয়েছি। আমাদের ধমক চমক দেবেন না। তৃণমূল কর্মীরা লাঠি ধরতে ভুলে যায়নি। শুধু লাঠি ধরতে বারণ আছে। লাঠি ধরলে আপনার গাড়ি আস্ত থাকবে না, আপনার টিকিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুগামীদের খবর নেওয়ার জন্যেও কেউ থাকবে না।'
পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে শেখ হামিদ বলেন, মমতা ব্যানার্জি ২০১১ সালে বলেছেন বদলা নয় বদল চাই। আমরা সেই মন্ত্রেই বিশ্বাসী। যদি দিদিমণি একবার এই কথাটি তুলে নেন, আমরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, যারা এলাকায় বিশৃঙ্খলা করতে আসছে, আমরা নিজেরা বুঝে নিতে পারব।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতির এই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে পাল্টা তাঁকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, এসআইআর নিয়ে তৃণমূল মিথ্যা প্রচার করছে। সেই মিথ্যা প্রচার করতে তিনি নিষেধ করেছিলেন। এরপর তৃণমূল যদি ইট মারে, তো তাদের জেনে রাখা উচিত, তারা পাটকেল খাবে।