ফের ধাক্কা বিজেপিতে। এবার তৃণমূলে ফিরলেন গোসাবার বিজেপি প্রার্থী। বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক দল ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন একুশের বিধানসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী বরুণ প্রামাণিক। বিজেপি তাঁকে 'বেইমান' বলেছে।
ঘর ওয়াপসি
মাস ছয়েক আগের কথা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের নিউ ইন্ডিয়ান মাঠে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়েছিলেন তিনি। এবং বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বরুণ প্রামাণিক ওরফে চিত্ত।
ভোটে হার
বিজেপি দল তাঁকে গোসাবা বিধানসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থীও করেছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্করের কাছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান চিত্ত। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই কার্যত বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল।
দল থেকে দূরে
ভোটের ফল ঘোষণার পর চিত্তকে আর সেভাবে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। তবে জল্পনা একটা ছিলই, তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন সেরকম একটা কানাঘুষো চলছিল। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের সুন্দরবন জেলার জেলা সভাপতি তথা কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের সাথে তিনি দেখাও করে এসেছিলেন।
রবিবার গোসাবায় গিয়ে স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তিনি। গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রয়াত। তাঁর জায়গায় বরুণ প্রামাণিককে প্রার্থী করা হয় কিনা, তা দেখার।
বরুণের বক্তব্য
৩০ বছর রাজনীতি করেছি। আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। দল ফিরিয়ে নেওয়ায় কৃতজ্ঞ। আমি দলের কর্মী। কোনও দরকার মনে করলে আমাকে ঢাকবেন, যতটা পারি আপনাদের পাশে থাকব। দলের কর্মী হিসেবে, সৈনিক হিসেবে।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া
বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগণা পূর্ব সংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীপ দাস জানান, গোসাবা বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী বরুণ প্রামাণিক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাতে বিজেপির খুব একটা ক্ষতি হবে না। তিনি বিধানসভা ভোটের মাস তিনেক আগে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি এসে কোনও লাভ হয়নি। তিনি চলে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না। বেইমানদের টিকিট দেওয়া ভুল হয়েছে। আমরা এখন বুঝতে পারছি সে কথা। যত ধান্দাবাজ বিজেপি থেকে চলে যাবে, ততই মঙ্গল। তাঁকে ছাড়াই গোসাবায় ভাল ভাবে দলের কাজ করব।