Mamata Banerjee on Bankimda Remark: 'হরিদা, শ্যামদা...' মোদীকে 'বঙ্কিমদা' ইস্যুতে নিশানা মমতার

সোমবার সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ আলোচনায় গানের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। আপত্তির জেরে, ভাষণের মাঝেই ভুল শুধরে শেষে ‘বন্দে মাতরম’-এর স্রষ্টাকে ‘বঙ্কিম বাবু’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement
 'হরিদা, শ্যামদা...' মোদীকে 'বঙ্কিমদা' ইস্যুতে নিশানা মমতারমমতা বলছেন 'নাকখত' দিন

সোমবার সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ আলোচনায় গানের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  এই নিয়ে  তীব্র আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। আপত্তির জেরে, ভাষণের মাঝেই ভুল শুধরে শেষে ‘বন্দে মাতরম’-এর স্রষ্টাকে ‘বঙ্কিম বাবু’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর এহেন বক্তব্যের পর সোমবারই সংসদের বাইরে এবং ভিতরে গর্জে ওঠে তৃণমূল। সমাজমাধ্যমেও এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয় শাসকদল। মঙ্গলবারও মোদীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি হাতে এদিন সংসদের বাইরে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাঁদের।

প্রসঙ্গত, ‘বন্দে মাতরম’ ইস্যুতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি।  এবার এই ইস্যুতে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার শহরের  রাসমেলা ময়দানে রাজনৈতিক জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, 'বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বললেন বঙ্কিমদা। যেন মনে হচ্ছে শ্যামদা, হরিদা।  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যিনি জাতীয় গান রচনা করেছিলেন, তাঁকে এই টুকু সম্মান দিলে না! আপনাদের তো মাথা নিচু করে নাকখত দেওয়া উচিত জনগণের কাছে। তাতেও ক্ষমা হবে না। দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাসকে অসম্মান করেছেন।' তার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজা রামমোহন রায়কে বললেন তিনি দেশপ্রেমী নন। ক্ষুদিরাম বসুকে সন্ত্রাসবাদী বললেন। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙলেন।’

এদিন ঠাকুর প়ঞ্চানন বর্মাকে সম্মান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। উন্নয়ন পাঁচালির কথাও বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপির মতো টাকা দিয়ে ভোট কিনি না। ভালবেসে উন্নয়ন করা হয়। বিহারে নির্বাচনের আগে কী হয়েছে সবাই দেখেছে। ' মহিলা রোজগার যোজনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষের সুরে বলেন, 'আমরা যা দেওয়ার আগেই দিই। ভোটের সময় নতুন করে উজ্বলার নামে একমাসের নাটক। নতুন করে চা বাগান খোলার নামে নাটক। নতুন করে কিছু দেওয়ার নামে নাটক। এসব নাটক আমরা বরদাস্ত করি না। আপনারা নির্বাচনের আগে বিহারে লোক দেখিয়ে কী করলেন?' এরপরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, 'আগে করে দেখান। তারপরে আমার সঙ্গে লড়াই করতে আসবেন।' কোচবিহারের সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Advertisement

কেন্দ্রকে নিশানা করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘একশ দিনের কাজের টাকা দেওয়া চার বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছেন। আবাস যোজনা বন্ধ। গ্রামীণ রাস্তার কাজ বন্ধ করে  দিয়েছে। মনে রাখবেন ২০১১ সালের পর থেকে একশ দিনের কাজে আমরা অনেক জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। ভাল কাজ করা কি অপরাধ?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘আমাদের সাংসদেরা দিল্লিতে গিয়েছিলেন আন্দোলন করতে। কিন্তু সকলের নামে কেস দিয়েছে।’কোচবিহারের সভা থেকে  কেন্দ্রের থেকে চিঠি পাওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠিতে কী কী আছে তা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই কাগজের কোনও ভ্যালু নেই। আমরা আবার ক্ষমতায় আসব। তোমাদের ভিক্ষা চাই না।’  তার পরেই তিনি কেন্দ্রের নোট ছিড়ে দেন। তৃণমূলনেত্রীর  কথায়, ‘তোমাদের ভিক্ষা চাই না। আমরা নিজের পায়ে হাঁটতে পারি।’
 

POST A COMMENT
Advertisement