রাজ্যে শিশু মৃত্যু ক্রমবর্ধমান। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সব কর্মীদের ছুটি বাতিল করল সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকলকে তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে। ফিভার ক্লিনিকগুলি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেছিলেন যে, এখনও পর্যন্ত ১৯ জন মারা গেছে, যার মধ্যে ছটি শিশু রয়েছে, যারা অ্যাডেনোভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার পরে জীবন হারিয়েছে। তিনি আবার ফেস মাস্ক ব্যবহার শুরু করার আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী গত ২ মাসে অ্যাডিনো ভাইরাস, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টে রাজ্য ১১২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ জন শিশুর। বেসরকারি হিসাবে, শুধুমাত্র বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই ৪৫জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে ছুটি বাতিল করা হয়েছে সব সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের।
হাসপাতালে যাতে অক্সিজেনের অভাব না থাকে তার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া নবান্ন থেকে ১০ দফার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। হাসপাতালের ক্লিনিকগুলিতে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।
যে হাসপাতালগুলিতে শিশুবিভাগ আছে সেখানে আলাদা আউটডোর চালু করার কথা বলা হয়েছে। যাতে সাধারণ বহির্বিভাগে এই রোগীদের অপেক্ষা করতে না হয়। এছাড়া হাসপাতালের প্রধান বা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের রেফার করা যাবে না।
আরও পড়ুন-আরও ২ শিশুর মৃত্যু কলকাতা মেডিক্যালে, ঘাতক সেই অ্যাডেনো?