বীরভূমে মাথাচাড়া দিচ্ছে বিরোধী শিবির। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা আপাতত তিহাড় জেল। এই পরিস্থিতিতে, সাগরদিঘির পর এবার বীরভূমের মাটিতে ক্রমশ একজোট হচ্ছে বাম-কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে একসঙ্গে লড়াইয়ের ময়দান তৈরি করছে দুই শিবিরই।
ইতিমধ্যেই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, জেলা পরিষদের সব আসনে বোঝাপড়া করে লড়াই হবে। রবিবার সিউড়িতে সিপিএমের বীরভূম জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন সিপিএম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ ও কংগ্রেস জেলা সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়।
অথট ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এই বীরভূমকেই কার্যত বিরোধীশূন্য করে দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলা পরিষদের সব আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯০ শতাংশ আসনেও মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি বিরোধীরা। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আলাদা বলে মনে করছেন বিরোধীরা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে বীরভূমের সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা বলেন, ‘২০১৮ আর ২০২৩ এক নয়। গতবার উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। এবার তিহাড় জেলে শুয়ে আছে।’
বীরভূম জেলা পরিষদের ৬০ শতাংশ আসনে শুক্র ও শনিবার—মনোনয়নের প্রথম দু’দিনেই কাগজপত্র জমা করে ফেলেছেন বাম-কংগ্রেস প্রার্থীরা। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে বামেরা একাই জেলা পরিষদের সব আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও বীরভূমে একসঙ্গে লড়ার ঘোষণা করল সিপিএম ও কংগ্রেস।