scorecardresearch
 

পৌষমেলার পর শান্তিনিকেতনে ভাঙামেলা, কতদিন চলবে?

এই ভাঙা মেলার কারণ হল ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপকদের বেতন হয়। তারপরে শুরু হয় কেনাকাটা। এবারেও বিশ্বভারতীর বেতনের কথা মাথায় রেখেই রাখা হয়েছে ভাঙা মেলা।

Advertisement
চলছে ভাঙা মেলা চলছে ভাঙা মেলা
হাইলাইটস
  • শান্তিনিকেতনে চলছে ভাঙামেলা
  • রয়েছে ৭০ শতাংশ দোকান
  • প্রশাসন নির্দেশ দিলে উঠে যাবে মেলা

পৌষমেলার পর শান্তিনিকেতনের অপর এক ঐতিহ্য ভাঙা মেলা (Bhanga Mela)। একসময় সরকারি ভাবে মেলা শেষ হওয়ার পরে ভাঙা মেলা চলত প্রায় সাত দিন। মূলত মনোহারি, শীতবস্ত্র, খাবারের দোকান এবং কাঠের সামগ্রীর দোকান গুলি বসতো ভাঙা মেলায়। সেই ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে এবারেও বোলপুর-শান্তিনিকেতনে বসেছে ভাঙা মেলা। মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেলাতে ৭০ শতাংশ স্টল রয়েছে। প্রশাসন যেদিন নির্দেশ দেবে মেলা উঠে যাবে।

চলছে ভাঙা মেলা
চলছে ভাঙা মেলা

রাজ্য সরকার এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এই সংঘাতের মাঝেই আয়োজিত হয় বোলপুর-শান্তিনিকেতন পৌষমেলা। ২৩ ডিসেম্বর সকালে শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ থেকে  ডাকবাংলো মাঠ অবধি একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। তারপর ডাকবাংলো মাঠেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় এই মেলার।

চলছে ভাঙা মেলা
চলছে ভাঙা মেলা

এবারের মেলাকে মূলত তিনটি ভাগে করা হয়। মূল অংশটি বসে ডাকবাংলো মাঠে। ডাকবাংলো মাঠের পাশের মাঠে বসে নাগরদোলা। জেলা পরিষদের বাংলোর পিছনে বসেন শীতের পোশাক নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা। আর পেট্রোল পাম্পের পাশের মাঠে বসে পৌষ মেলার অন্যতম আকর্ষণ কাঠের সামগ্রীর স্টল। 

চলছে ভাঙা মেলা
চলছে ভাঙা মেলা

এবছর পৌষ মেলা (Santiniketan Poush Mela) শুরু হয় ২৩ তারিখ এবং শেষ হয় ২৮ তারিখ। ২৯ তারিখ সকাল থেকেই উঠতে শুরু করে প্রদর্শনী স্টলগুলি। কিন্তু মেলার মূল অংশে থাকা খাবার দোকান গুলি রয়েছে। এখানে প্রায় ৩০টি ছোট বড় দোকান রয়ে গিয়েছে। একইভাবে মেলায় রয়েছে দুটি বড় ইলেকট্রিক নাগরদোলা ও একাধিক জয়রাইড। রয়েছে প্রায় ২০০টি শীতবস্ত্রের দোকান। অন্য়দিকে পেট্রল পাম্পের পাশের মাঠ রয়েছে কাঠের সামগ্রীর দোকানগুলিও। মূলত এই ভাঙা মেলার কারণ হল ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপকদের বেতন হয়। তারপরে শুরু হয় কেনাকাটা। এবারেও বিশ্বভারতীর বেতনের কথা মাথায় রেখেই রাখা হয়েছে ভাঙা মেলা।

Advertisement

 

Advertisement