scorecardresearch
 

Bhupatinagar Blast: মমতার কটাক্ষ, 'চকোলেট বোমা', ২০২২ সালে ঠিক কী ঘটেছিল ভূপতিনগরে?

সন্দেশখালির পর ফের ডিউটিতে গিয়ে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ল এনআইএ। গাড়ি ভাঙচুর হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলেও খবর।

Advertisement
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি ভূপতিনগর বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • সন্দেশখালির পর ফের ডিউটিতে গিয়ে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী।
  • অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ল এনআইএ।

সন্দেশখালির পর ফের ডিউটিতে গিয়ে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ল এনআইএ। গাড়ি ভাঙচুর হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলেও খবর। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তৃণমূল নেতার অনুগামীদের হামলার মুখে পড়েছিল ইডি। কার্যত প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। সেই ঘটনার পর তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্য জুড়ে। তার রেশ কাটার আগেই লোকসভা ভোটের মুখে বাংলায় আক্রান্ত হল এনআইএ।

কী ঘটেছিল ভূপতিনগরে?
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুন নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নায়ড়াবিলা গ্রামে রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। আদালতের নির্দেশে সেই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই হামলার মুখে পড়ল এনআইএ। আর তারপর থেকেই ফের খবরের শিরোনামে ভূপতিনগর বিস্ফোরণ।

এনআইএ তদন্তের দাবি
ঘটনার পর থেকেই বিজেপি অভিযোগ করেছিল, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সেই আবহে ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেও একই দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরই সিদ্ধান্ত নেয় যে এনআইএ এই বিস্ফোরণের তদন্ত করবে। 

আরও পড়ুন

বিজেপির অভিযোগ
ঘটনার পরে বিজেপির অভিযোগ ছিল, বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফে বাজি ফেটে বিপত্তির দাবি করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত রাজকুমারের স্ত্রী লতিকারানি মান্নাও লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, নিষেধ সত্ত্বেও তাঁর স্বামী বাড়িতে বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি করতেন। 

Advertisement

অভিষেকের সভা
ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পরের দিন সকালে কাঁথিতেই সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর পরই কাঁথির বাসিন্দা বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। 

অন্যদিকে, ভূপতিনগরের ঘটনার আগের দিনই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানায় বাজেয়াপ্ত করা বাজির বিস্ফোরণে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলায় এই বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে। 

তৃণমূল নেতাদের তলব 
ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদ প্রার্থী মানব বড়ুয়াকে তলব করে এনআইএ। তলব করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বলাইচরণ মাইতিকেও। 

শাসকদলের অভিযোগ
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা এনআইএ-র পদাধিকারীর সঙ্গে দেখা করে নামের তালিকা তুলে দিয়েছেন। সেই তালিকা মিলিয়ে তৃণমূলের নেতা, কর্মী, সংগঠকদের ডেকে পাঠিয়ে ভোটে কাজ না করার কথা বলছে এনআইএ। কুণালের অভিযোগ ছিল, বিজেপি ভোটে জিততে এনআইএ-কে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।

ভূপতিনগরের ঘটনার পর কার্যত একই অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি শনিবারও বলেন, '২০২২ সালের একটি চকোলেট বোমার কেস, আর আজকে গ্রেফতার করছে।'

 

Advertisement