ভরদুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভূপতিনগর। দু'পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বোমাবাজিও হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে র্যাফ। বিজেপি কর্মীদের এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
দিন কয়েক আগে সেখানে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ ৪ জনের। অকুস্থল থেকে খানিক দূরে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। বিজেপি কর্মীদের পিছু ধাওয়া করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসক দল।
সোমবার ভূপতিনগরে বিস্ফোরণস্থলে যায় বম্ব স্কোয়াড। সকালে শুরু হয় তল্লাশি। তখনই দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় উত্তেজনা। অভিযোগ,ঘটনাস্থলে বিজেপির কর্মীরা যেতেই দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। বিজেপি নেতাদের দাবি, তথ্য গোপনের চেষ্টা চলছে। তাই তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই বিজেপির এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। নীরব দর্শক হয়েছিল পুলিশ।
শনিবার কাঁথি শহরে সভা করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের রাতে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কাঁথির ভগবানপুর-২ ব্লকের অর্জুননগর পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলা গ্রাম। তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয় রাজকুমার-সহ তিন জনের। ঠিক কী কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বামী বাজি কারখানা চালাতেন বলে পুলিশে জানিয়েছেন রাজকুমারের স্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ, বোমা বাঁধতে গিয়েই এই ঘটনা। এনআইএ তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা কথা? যা বললেন মমতা