বিজেপির উল্লাস।-প্রতীকী ছবিবিহার বিধানসভা নির্বাচনে শক্ত অবস্থান দেখে আরও উচ্ছ্বসিত বিজেপি। শুক্রবার সকাল থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়, নীতীশ–চিরাগদের জোট মগধভূমিতে দাপট দেখাচ্ছে। সাড়ে দশটার হিসাব অনুযায়ী, ১৯৬টি আসনে এগিয়ে তারা। ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গেছে। এই ফলাফলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। সেই আবহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ঘোষণা করেন, 'বিহারের পর এবার বাংলার পালা।' ঠিক এরপরই রাজ্য বিজেপির এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট হয় বার্তা-‘নেক্সট ওয়েস্ট বেঙ্গল’।
বিহারের আবহে বাংলায় বিজেপির নতুন সুর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে বলেন, 'আমরা বাংলাতেও জিতব। এখনকার সরকার বাইরের শক্তির মদতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ এবার সত্যটা বুঝবেন।'
Next West Bengal 🪷
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) November 14, 2025
বিহারের ফলাফল স্পষ্ট হতেই বঙ্গ বিজেপি কার্যত উজ্জীবিত। কয়েক বছর ধরেই বাংলায় রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে মরিয়া তারা। ২০২১ সালের বিধানসভায় ‘২০০ পার’-এর ডাক দিয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছিল বিজেপি। একশো আসনের কাছাকাছিও পৌঁছনো হয়নি। এরপর থেকেই সংগঠনে ভাঙন, অসন্তোষ, দলে দলে নেতার দলবদল-সব মিলিয়ে ক্রমে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিহারের এই নতুন ট্রেন্ড বিজেপিকে নতুন অক্সিজেন দিল বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
তৃণমূলের কটাক্ষ-'বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা'
বিজেপির হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'বাংলায় শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা।'
২০২১-এর পর থেকে বারবারই তৃণমূল বলে আসছে যে বাংলার ভোটাররা 'বহিরাগত রাজনীতি' মানবেন না। বিজেপির ‘বাংলা দখল’ সুরকে তারা রাজনৈতিক প্রচার মাত্র বলেই দাবি করছে।
বাংলার বাস্তবতা কোন দিকে?
বাংলায় বিজেপি আদৌ ক্ষমতা দখল করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে। একদিকে তৃণমূলের গ্রাসরুট সংগঠন এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী, অন্যদিকে বিজেপির সংগঠনগত কোন্দল এখনো কাটেনি। তবে বিহারের ফল বিজেপির মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দিল-এটা স্পষ্ট।