Love Marriage Dispute: পালিয়ে বিয়ে কেন? রাগে জীবিত মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট বের করলেন বাবা

বাড়ির অমতে প্রেম করে বিয়ে করেছে মেয়ে। রাগে 'সন্তানের মৃত্যু হয়েছে' বললেন বাবা। ভারতীয় সমাজে এটা খুব একটা আনকমন কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে জীবিত মেয়ের 'ডেথ সার্টিফিকেট'! হ্যাঁ, এমনই অভাবনীয় কাজ করলেন এক বাবা। বিহারের মুঙ্গের জেলার হাভেলি খড়গপুরের ঘটনা।

Advertisement
পালিয়ে বিয়ে কেন? রাগে জীবিত মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট বের করলেন বাবা

বাড়ির অমতে প্রেম করে বিয়ে করেছে মেয়ে। রাগে 'সন্তানের মৃত্যু হয়েছে' বললেন বাবা। ভারতীয় সমাজে এটা খুব একটা আনকমন কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে জীবিত মেয়ের 'ডেথ সার্টিফিকেট'! হ্যাঁ, এমনই অভাবনীয় কাজ করলেন এক বাবা। বিহারের মুঙ্গের জেলার হাভেলি খড়গপুরের ঘটনা। মেয়ের লাভ ম্যারেজে ক্ষুব্ধ বাবা এই কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ। এখন জীবিত থাকার প্রমাণ দিতে বিভিন্ন সরকারি অফিস, ব্যাঙ্কে ঘুরতে হচ্ছে তরুণীকে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হাভেলি খড়গপুরের এসডিএম রাজীব রোশন ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিয়ের পরই 'মৃত' তরুণী!

অভিযোগকারী তরুণী সঞ্জনা কুমারী জানান, তিনি হাভেলি খড়গপুরের সিংহপুর মহল্লার বাসিন্দা সতন বিন্দের মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতে থাকতেন। সেখানেই হাভেলি খড়গপুরের মহকোলা গ্রামের বাসিন্দা নবল কিশোর বিন্দের ছেলে আনন্দ কুমারের সঙ্গে পরিচয় হয়। বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। ২৭ অক্টোবর ২০২৪-এ তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরের দিন, ২৮ অক্টোবর, দিল্লির রোহিণী আদালতে দু'জনে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর হঠাৎ সঞ্জনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। তখনই তিনি খোঁজ নেন। জানতে পারেন, হাভেলি খড়গপুর পৌরসভার তরফে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে। স্থানীয় পৌরসভায় গিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে আরও চমকে যান তিনি। জানতে পারেন, তাঁর বাবা বিয়ের দিনই তাঁকে 'মৃত' দেখিয়ে পৌরসভা থেকে মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি করিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পৌরসভার নথিতে তাঁর মৃতদেহের একটি ছবি দেখানো হয়(বলাই বাহুল্য, ভুয়ো)!

জীবিত থাকার প্রমাণ দিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তরুণী

এরপর ন্যায়ের দাবিতে হাভেলি খড়গপুরের এসডিএম রাজীব রোশনের কাছে আবেদন জানান সঞ্জনা। তিনি বলেন, 'আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। আমার কোনও রোগ নেই। অথচ বাবার ষড়যন্ত্রের কারণে আমি নথিতে মৃত হয়ে গিয়েছি। আমি জীবিত, আমার বিচার চাই।'

স্বামীর আর্তি: স্ত্রীর মৃত্যুর শংসাপত্র বাতিল হোক

সঞ্জনার স্বামী আনন্দ কুমার জানান, ২০২৪ সালে তিনি সঞ্জনাকে বিয়ে করেছেন। অথচ তাঁর স্ত্রীকে মৃত দেখিয়ে শংসাপত্র জারি করা হয়েছে। আনন্দ বলেন, 'এই ষড়যন্ত্রে একাধিক কর্মচারী ও আধিকারিকের স্বাক্ষর রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমার স্ত্রীর মৃত্যুর শংসাপত্র অবিলম্বে বাতিল করা হোক, যাতে সে জীবিত প্রমাণিত হয়।'

Advertisement

এসডিএমের হুঁশিয়ারি: দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস

হাভেলি খড়গপুরের এসডিএম রাজীব রোশন জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, 'পৌরসভা থেকে তরুণীর নামে মৃত্যু শংসাপত্র জারি হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে জানতে পারি, তরুণীর বাবা ভুল তথ্য দিয়ে এই শংসাপত্র বানিয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

সংবাদদাতা: গোবিন্দ কুমার

POST A COMMENT
Advertisement