রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরিতে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই রায়ের ফলে স্বস্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। এই নিয়ে মুখ খুললেন আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
কী বলেছেন বিকাশরঞ্জন?
সংবাদমাধ্যমে বিকাশরঞ্জন বলেছেন, 'গোটা ক্যাবিনেটটাই জেলে চলে যাবে, সেটাই ওদের ভয় ছিল। সুপ্রিম কোর্টে সেটাতে স্বস্তি দিল ওদের। সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি হল।'
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে এসএসসিতে নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছিল শিক্ষা দফতর। রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্ত আইনি নয় বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসি-র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। যার জেরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। এই ঘটনায় বিকাশরঞ্জনকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকাশরঞ্জনকে আইসোলেট করা হোক বলে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, সোমবার চাকরিহারাদের একাংশের সঙ্গে সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ্যদের চাকরির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সুপ্রিম কোর্টের আইন অনুযায়ীই করব। পথে চলতে গেলে গর্ত আসতে পারে, কিছু রাস্তা ভাঙা থাকতে পারেন, সেই সব পেরিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমার প্ল্যান এ রেডি, বি রেডি, সি রেডি, ডি রেডি, ই রেডি। এই যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি যাতে কোনও ভাবে না যায়, তার ব্যবস্থা আমরা করব। আপনি আপনার কাজ করুন। আপনাকে কেউ চাকরি থেকে বরখাস্ত করেনি।
অন্য দিকে, চাকরি বাতিল নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছেন, '২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকেন, তা মুখ্যমন্ত্রী। এসএসসির অটোনমি শেষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদেরও বলি করা হয়েছে।'