Birati: বিরাটির শিশুমৃত্যুর দায় কার? TMC কাউন্সিলর বললেন,'বাম জমানা...'

বিরাটিতে ঘরের মধ্যে জমা জলে পড়ে মৃত্যু হয় ৫ মাসের শিশুকন্যার। উত্তর দমদম পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। লাগাতার বৃষ্টিতে জল জমে ঢুকে যায় ঘরে। খাট থেকে নামলেই এক হাঁটু জল। এরই মধ্যে চলছে রান্না, খাওয়া, ঘুম। শনিবার সকালে খাটের কোণায় ঘুমোচ্ছিল ৫ মাসের ছোট্ট শিশুকন্যাটি। রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন মা। মায়ের অগোচরে খাট থেকে জমা জলে পড়ে ডুবে মৃত্যু হয় একরত্তির। 

Advertisement
বিরাটির শিশুমৃত্যুর দায় কার? TMC কাউন্সিলর বললেন,'বাম জমানা...'প্রতীকী ছবি

বিরাটিতে ঘরের মধ্যে জমা জলে পড়ে মৃত্যু হয় ৫ মাসের শিশুকন্যার। উত্তর দমদম পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। লাগাতার বৃষ্টিতে জল জমে ঢুকে যায় ঘরে। খাট থেকে নামলেই এক হাঁটু জল। এরই মধ্যে চলছে রান্না, খাওয়া, ঘুম। শনিবার সকালে খাটের কোণায় ঘুমোচ্ছিল ৫ মাসের ছোট্ট শিশুকন্যাটি। রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন মা। মায়ের অগোচরে খাট থেকে জমা জলে পড়ে ডুবে মৃত্যু হয় একরত্তির। 

স্থানীয়দের অভিযোগ দিনের পর দিন বৃষ্টির জল জমে রয়েছে ঘরে। পাশের খাল নিকাশ হয়নি বহুদিন। নিকাশী ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে এতদিনেও জমা জল বেরোল না। এ প্রসঙ্গে উত্তর দমদম পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্ত দাস বলেন,  'ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি শুনেই চলে এসেছি। অতিবৃষ্টির কারণে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে এলাকা। বাচ্চাটি শুয়েছিল। ঘরের মধ্যেই খাট থেকে নীচে পড়ে যায়। এখান থেকে পৌর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওখান থেকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।” 

তবে এলাকার কাউন্সিলর বেহাল নিকাশী ব্যবস্থার কথা অস্বীকার করেন। বলেন, 'এমন বৃষ্টি চলল হল যাতে যে কোনও জায়গায় সমুদ্র হয়ে যাবে। প্রকৃতিকে ঠেকানোর ক্ষমতা আমাদের কারোর নেই। ২ ঘণ্টা আগে যে জল জমে আছে, সেটা তো যাওয়ার সময় দিতে হবে? ওনার ঘর রাস্তা থেকেও নীচু। জল জমলেই আমি এলাকা পরিদর্শন করি। বাম আমল থেকেই এই সমস্যা।'

ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, উত্তর দমদমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই দেবীনগর এলাকা ফি বছরই বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এলাকা অপেক্ষাকৃত নীচু। পাশে থাকা খালও সংস্কার হয় না বহুদিন। ফলে বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে দেবীনগরের বিস্তীর্ণ অংশ। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। 

POST A COMMENT
Advertisement