জেলমুক্তির পর ফের নিজের পুরনো মেজাজে অনুব্রত মণ্ডল? দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই বীরভূমের ভোটের রণনীতি গোছাতে শুরু করেছেন কেষ্ট। এমনিতেই কাজল শেখ ও অনুব্রতর 'দ্বন্দ্ব' ঘিরে জোর চর্চা চলছেই। কিন্তু ২০২৬-এর ভোটের আগেও কি সেই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়বে? সেই প্রশ্নেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
মহাশিবরাত্রিতে এ যেন নতুন রূপে কেষ্ট-কাজল। কাজল শেখের হাতে ত্রিশূল, অনুব্রতর হাতে রুপোর তীর-ধনুক। দুই নেতাকে খুশি করতে তৃণমূল কর্মী-নেতারাও তৎপর। সাঁইথিয়ায় শিবরাত্রির অনুষ্ঠানে কাজল শেখ পেলেন রুদ্রাক্ষের মালা ও ত্রিশূল। অন্যদিকে, ইলামবাজারের এক কর্মী সম্মেলনে অনুব্রতর হাতে তুলে দেওয়া হয় রুপোর তীর-ধনুক।
মুরারইয়ের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধনে কাজল শেখের হাতে ওঠে কাঠের ব্যাট। সেই ব্যাট হাতে মাঠে ছক্কা-চারও হাঁকালেন তিনি। অন্যদিকে, সাঁইথিয়া কলেজ মাঠে বইমেলার উদ্বোধনে ঘন্টা বাজিয়ে মেলা শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। স্পষ্ট, ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে।
বীরভূমের দুই নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে খুশি করতে সর্বত্র সক্রিয় তৃণমূল কর্মীরা। এই দ্বন্দ্ব শুধু মাঠে-ময়দানে সীমাবদ্ধ নয়, ছড়িয়ে পড়েছে সভা-মঞ্চেও। উপহার দেওয়া, উদ্বোধন অনুষ্ঠান – সর্বত্র দেখা যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতা।
অনুব্রতর জেলমুক্তির পরেই বীরভূমে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক হিংসার ঘটনাও বেড়েছে। কখনো অনুব্রতর অনুগামীরা আক্রান্ত, কখনো বা কাজল শেখের অনুগামীরা। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তন কী মোড় নেয়, সেদিকেই নজর সকলের।