একশো দিন ধরে নিখোঁজ ছেলে। সরকারি পদে থাকা অনেক কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিন্তু ঘরের ছেলে ঘরে ফেরেনি। তাই এবার আর উপায় না দেখে রীতিমতো মহাকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে ধর্নায় বসলেন বাবা। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাটের। ছেলেকে ফিরে পেতে কী সাহায্য করবে প্রশাসন? এই প্রশ্নই বার বার করে চলেছে অসহায় বাবা।
বীরভূমের রামপুরহাটের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলা মাঠের বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাসের ছেলে তীর্থ দাস গত ১৭ আগস্ট বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাত গড়িয়ে গেলেও আর বাড়ি ফেরেনি সে। সব জায়গায় খোঁজ খবর শুরু হয় তাঁর। আত্মীয়দের বাড়ির পাশাপাশি বন্ধুদের বাড়িতেও খোঁজ করে আর পাওয়া যায়নি ছেলেকে। অগত্যা কোনও উপায় না দেখে বীরভূমের রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাবা।
কিন্তু অভিযোগ তো সার কোনও ভাবেই পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষকর্তা ব্যক্তিরা তাঁর ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি। তাঁর অভিযোগ ছেলেকে ফিরে পেতে পুলিশ নাকি সেভাবে তাঁকে সহযোগিতাই করেনি। মানে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনভাবে ছেলেকে ফিরে পাননি অসহায় বাবা। তারপরেই শেষমেষ কোনও উপায় না দেখে রীতিমতো ধর্নায় বসলেন বাবা বিশ্বনাথ দাস। বিশ্বনাথ দাস জানান আগামী দিনে তিনি বীরভূম জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানাবেন এবং ছেলেকে ফিরে না পেলে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন।
বিশ্বনাথ দাস বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধর্না মঞ্চ করে 'পেরিয়ে গেল একশো দিন, আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিন' ব্যানার লাগিয়ে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন। তার সঙ্গে ধর্নায় বসছেন তাঁর কাছের মানুষেরা। তাঁরাও চাইছেন যাতে ছেলে তীর্থকে ফেরে পান বিশ্বনাথবাবু। সেই ভাবেই প্রশাসন যাতে নজর দেয় সেই আবেদন করছেন তাঁরা।
এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীরভূম জুড়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই চাইছেন যাতে প্রশাসন সঠিক কাজ করে ছেলেকে বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এই গোটা বিষয়টি হতে এত দেরি কেন লাগছে তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। কিন্তু এই ছেলে কোথায় গিয়েছে। কোনও চক্রে জড়িয়ে পড়েছে নাকি? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে।