Rampurhat: 'মেয়ের উপর কুনজর ছিল, বিয়ে করতে চেয়েছিল,' রামপুরহাটে কিশোরীকে ধর্ষণ করে দেহ টুকরো টুকরো করে বিজ্ঞানের শিক্ষক?

রামপুরহাটের ছাত্রীর টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মনোজ কুমার নামে ভৌতবিজ্ঞানের মাস্টারকে। ধর্ষণ করেই কি তাকে খুন করেছে মনোজ মাস্টার? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পরিবারের।

Advertisement
'মেয়ের উপর কুনজর ছিল, বিয়ে করতে চেয়েছিল,' রামপুরহাটে কিশোরীকে ধর্ষণ করে দেহ টুকরো টুকরো করে বিজ্ঞানের শিক্ষক?প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • ছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রমাণ লোপাট করতেই খুন
  • মনোজ মাস্টারই দেহ টুকরো টুকরো করে নাবালিকার?
  • ছাত্রীর উপর কুনজর ছিল বলে দাবি পরিবারের

প্রায় ২০ দিন নিখোঁজ থাকার পর আদিবাসী ছাত্রীর বস্তিবন্দি টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার মিলেছে জমাজমিতে। হাড়হিম এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্রীর ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষককে। ধর্ষণ করে ছাত্রীকে খুন করেছে সে, অভিযোগ পরিবারের। মৃতদেহ লোপাট করতেই ধর আর দেহাংশ কেটে আলাদা করে দেয় ধৃত? কিন্তু কী থেকে নিজের ছাত্রীর উপর এহেন আক্রোশ তৈরি হল শিক্ষকের? 

পরিবার জানাচ্ছে, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুলের ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষক ৪৯ বছর বয়সী মনোজ কুমারের কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়ত। তার উপর বরাবরই কুনজর ছিল মাস্টারের। নিয়মিত তাকে উত্যক্ত করত বলেও পুলিশকে জানিয়েছে মেয়েটির দিদি। এমনকী, ওই ছাত্রীকে বিয়েও করতে চেয়েছিল মনোজ মাস্টার। নিগত ছাত্রীর দিদি বলেন, 'তুলে নিয়ে গিয়ে বোনকে খুন করেছে মনোজ মাস্টার। লোকটা আমার বোনকে কুনজরে দেখত। বোন বাড়িতে এসে মাকে সব জানিয়েওছিল। আমরাই সেভাবে গুরুত্ব দিইনি।' কিশোরীর ঠাকুমার কথায়, 'ওই মাস্টারই আমার নাতনিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মোটরবাইকে। বলেছিল, নাতনি বড় হলে ওকে বিয়ে করবে। ওই মাস্টারই মেয়েকে খুন করেছে। ওর ফাঁসি চাই।'

কিশোরীর সহপাঠীদেরও বক্তব্য, মনোজ মাস্টারের ছাত্রীর প্রতি নজর ভাল ছিল না। ক্লাসে কিংবা টিউশনে অন্য ছাত্রদের সঙ্গে সে কথা বললে, তাকে বকাবকি করত। এমনকী ছুটির পর সবাই বেরিয়ে গেলেও তাকে বেরোতে দিত না মনোজ মাস্টার। 

আদিবাসী ওই স্কুলছাত্রীর দেহ বুধবার রামপুরহাটের একটি জলাজমি থেকে উদ্ধার হয়। বস্তার মধ্যে হাত পা কাটা অবস্থায় মেলে। দেহের কোমরের অংশ থেকে বাকিটা খণ্ড খণ্ড করে কাটা ছিল। দেহাংশে পচনও ধরে গিয়েছিল। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষক মনোজ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৮ অগাস্ট প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল মেয়েটি। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। শত খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনও হদিশ মেলেনি গত ২০ দিন। রামপুরহাট থানার পাশাপাশি সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ড পুলিশও তল্লাশি চালিয়ে কোনও সন্ধান পায়নি ছাত্রীর। এরপর মনোজের উপর সন্দেহ হয় পরিবারের। স্কুলে গিয়ে মনোজকে মারধরও করে নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় রামপুরহাট থানার পুলিশ। তাকে আটক করে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে নিজের দোষ কবুল করেছে মনোজ। তার চিহ্নিত করার পরই জলাজমি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় ছাত্রীর দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও দেহ পচেগলে যাওয়ায় খানিক বেগ পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। দেহাংশ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট মিললে ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

Advertisement

জানা গিয়েছে, আদতে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বাসিন্দা মনোজ কুমার। থাকত রামপুরহাটের ওই স্কুললাগোয়া একটি ভাড়াবাড়িতে। 

 

 

POST A COMMENT
Advertisement