ঘরের নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার কন্ডোম-ভায়াগ্রার প্যাকেট। তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে সেক্স টয়ও। বীরভূমের রামপুরহাটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষকের বাড়ি গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। সূত্রের খবর, ধৃত মনোজ কুমার ওরফে মনোজ মাস্টার বরাবরই বিকৃতকাম। স্ত্রীর সঙ্গেও সে কারণেই তার স্ত্রী ছেড়ে চলে যান। তবে কি সেই বিকৃত যৌন লালসারই শিকার হল ওই নাবালিকা?
একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বাসিন্দা মনোজ কুমার স্কুলের চাকরি নিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে ৬ বছর আগে। স্ত্রীর উপর সে নারকীয় অত্যাচার চালাত বলেও খবর। তবে বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গেও নাকি যৌন সম্পর্ক ছিল মনোজের।
সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী ভৌতবিজ্ঞানের প্রাইভেট টিউশন নিতে যেত ৮৯ বছর বয়সী মনোজের বাড়িতে। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, তার উপর কুনজর ছিল মনোজ মাস্টারের। সে বলত, 'তুই বড় হলে তোকে বিয়ে করব।' শারীরিক সম্পর্কের জন্য তাকে জোর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ নাবালিকার দিদি-ঠাকুমার। নিয়মিত তাকে উত্যক্ত করত বলেও পুলিশকে জানিয়েছে মেয়েটির দিদি। তিনি বলেন, 'তুলে নিয়ে গিয়ে বোনকে খুন করেছে মনোজ মাস্টার। লোকটা আমার বোনকে কুনজরে দেখত। বোন বাড়িতে এসে মাকে সব জানিয়েওছিল। আমরাই সেভাবে গুরুত্ব দিইনি।' কিশোরীর ঠাকুমার কথায়, 'ওই মাস্টারই আমার নাতনিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মোটরবাইকে। বলেছিল, নাতনি বড় হলে ওকে বিয়ে করবে। ওই মাস্টারই মেয়েকে খুন করেছে। ওর ফাঁসি চাই।' কিশোরীর সহপাঠীদেরও বক্তব্য, মনোজ মাস্টারের ছাত্রীর প্রতি নজর ভাল ছিল না। ক্লাসে কিংবা টিউশনে অন্য ছাত্রদের সঙ্গে সে কথা বললে, তাকে বকাবকি করত। এমনকী ছুটির পর সবাই বেরিয়ে গেলেও তাকে বেরোতে দিত না মনোজ মাস্টার। জানা গিয়েছে, বাড়ির একটি ঘরে এসি লাগিয়েছিল মনোজ মাস্টার। সেখানে যৌন সম্পর্ক তৈরির ছক কষত কিশোরীর সঙ্গে? সে কারণেই কি টিউশন ক্লাসের পরে তাকে আটকে রাখার ফন্দি খুঁজত?
উল্লেখ্য, প্রায় ২০ দিন নিখোঁজ থাকার পর আদিবাসী ছাত্রীর বস্তিবন্দি টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার মিলেছে জমাজমিতে। ধর্ষণ করে ছাত্রীকে খুন করেছে ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক, অভিযোগ পরিবারের। মৃতদেহ লোপাট করতেই ধর আর দেহাংশ কেটে আলাদা করে দেয় ধৃত? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।