বীরভূমের সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবারও থমথমে গ্রাম। গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য। নতুন করে অশান্তির আশঙ্কায় সন্তানদের নিয়ে ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন গ্রামের মহিলারাও। বোমাবাজির জায়গায় এখনও পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্তের দাগ। ফের যাতে কোনও অশান্তি না শুরু হয় তার জন্য গ্রামে চলছে পুলিশি টহল।
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে সোমবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের সাঁইথিয়ার একটি গ্রাম। প্রথমে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর তা গড়ায় হাতাহাতিতে। শেষে ব্যাপক সংঘর্ষের রূপ নেয়। শুরু হয় বোমাবাজি। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন দু'জন। শেখ সাদ্দাম নামে এক তৃণমূল কর্মীর ডান পা উড়ে যায়। বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর জখম হয় মুজাফফর হোসেন নামে বছর ১৪-র আরও এক কিশোর। বর্তমানে তারা দু'জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কার আধিপত্য থাকবে এই নিয়ে সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডল গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের বিরোধ। সোমবার সেই বিবাদ চরমে উঠলেই ঘটে যায় এই সংঘর্ষের ঘটনা। আর তাতেই জখম হয় শেখ সাদ্দাম ও মুজাফফর হোসেন।
এই প্রসঙ্গে তুষার মণ্ডল গোষ্ঠীর অভিযোগ, তাদের লক্ষ্য করেই বোমা ছোড়া হয়েছিল। তাতেই জখম হয় ওই দু'জন। গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ সাদ্দাম ও মুজাফফর হোসেনকে প্রথমে সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে রেফার করেন চিকিৎসকেরা। যদিও এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, 'গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করেছে। কোনও অপরাধীই ছাড় পাবে না।'
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া যাচ্ছে সংঘর্ষ ও অশান্তির খবর। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ তুলছে শাসক ও বিরোধী শিবির। কোথাও কোথাও আবার পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।
আরও পড়ুন - কোলেস্টেরল থেকে সুগার, নিয়ন্ত্রণে রাখে তেজপাতার জল, কখন-কীভাবে খাবেন?