রাজ্যে আবারও পুলিশি বর্বরতার নজির। এক যুবকের মুখের ভিতরে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মারাগ্রাম থানার চাঁদপাড়া গ্রামে। আর এই ঘটনার পর এলাকায় বিরাট উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
যতদূর খবর, বয়স ২৪-এর এই যুবকের নাম হেমন্ত বাগদি। দশমীর রাত মোটামুটি সাড়ে নটা নাগাদ হেমন্ত ও স্ত্রী যাচ্ছিলেন বিসর্জন দেখতে। আর সেই সময়ই এক ভিলেজ পুলিশ যুবককে মুখের ভিতরে নিষিদ্ধ বাজি ঢুকিয়ে ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যার ফলে গুরতর জখম হন যুবক। তার মুখের অনেকটা অংশ পুড়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশে। দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায় মারগ্রাম থানার পুলিশ। তারপর আহত যুবককে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেছে। সেখানেই ভর্তি রয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হেমন্তর মুখের ভেতর এবং বাইরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
পরিবারের তরফে যা অভিযোগ...
এই ঘটনা স্বভাবতই ক্ষোভে ফুঁসছে হেমন্তর পরিবার। তাঁদের তরফে দাবি যে আক্রান্তের মুখে বিপজ্জনক ব্ল্যাক ক্যাট বাজি পুরে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে গুরুতর আক্রান্ত হয়েছেন হেমন্ত। যদিও পরিবারের এই দাবি মানতে নারাজ পুলিশ। তাদের মতে, সম্ভবত কালি পটকার মতো কোনও বাজি হেমন্তর মুখে ফাটানো হয়েছে।
ঘটনার নেপথ্য কারণ আপাতত জানা যায়নি
ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে কেন ওই ভিলেজ পুলিশ এমন ঘটনা ঘটালেন, সেটা জানা যায়নি। স্থানীয় মানুষ জানতে চাইছেন, এটা কি নিছকই বাজি ফাটানোর সময়ের দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও অন্য কারণ?
ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী
এই ঘটনা সামনে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী। চাঁদপাড়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। গ্রামবাসীদের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিসর্জনের মিছিল। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিও তোলা হয়। যদিও সাময়িকভাবে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশ। তবে এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত
ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। তাদের তরফে অভিযুক্ত পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ বলেই খবর।
যদিও এখনও পুলিশ সূত্রে তেমন কিছুই জানান হয়নি। তবে এর পিছনে আপাতত কোনও রাজনৈতিক লিংক খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।