বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় SIR প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এহেন তোড়জোড়ের মধ্যেই তৃণমূল ও বিজেপি-র নেতারা কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন, তাও ভবিষ্যদ্বাণী শুরু করে দিলেন। একদিকে অশোক দিন্দা যেমন নিজেকেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিচ্ছেন, অন্যদিকে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও প্রার্থীর নাম বলে দিচ্ছেন।
নন্দীগ্রামের মতো হাইপ্রোফাইল লড়াইয়ের ইঙ্গিত
আবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুর নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী বারবার যেভাবে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রটিতে নন্দীগ্রামের মতো হাইপ্রোফাইল লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভবানীপুরে শুভেন্দু অধিকারী মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন বলেও অনেকে দাবি করছেন।
নিজেকে নিজেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন অশোক দিন্দা
ভোটমুখী বাংলায় এখন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চগুলিই হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক হুঁশিয়ারির মঞ্চ। প্রার্থী ঘোষণার আগেই নিজেকে নিজেই ময়নার বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন অশোক দিন্দা। বিজেপি-র ময়নার বিধায়ক প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দার কথায়, 'ভারতীয় জনতা পার্টিতে কে কোথা থেকে দাঁড়াবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। তবে আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, ২০২৬ সালে অশোক দিন্দাই ময়নায় দাঁড়াবে। ৯৯.০০৯ শতাংশ আমিই দাঁড়াব। আপনারা আমার সঙ্গে থাকুন। গত সাড়ে চার বছর ধরে ময়না বিধানসভাতেই পড়ে আছি। সবসময় মানুষের কথা ভাবি।'
সাঁইথিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা অনুব্রতর
অন্যদিকে আবার অনুব্রত মণ্ডলও পিছিয়ে নেই। তিনি আবার সাঁইথিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাম আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সাঁইথিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন নীলাবতী সাহা। অনুব্রত বলেন, ‘ছাব্বিশের ভোট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। প্রার্থী যেই হোক চিন্তা করবেন না। নীলাবতী সাহা ক্যান্ডিডেট মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যান্ডিডেট। জানবেন লীলাবতী না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন না।' ২০১৬ ও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়া কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হন নীলাবতী সাহা। ২০১৬ সালের ভোটে ৩৮ হাজারের বেশি ভোটে থেকে জয়ী হন তিনি। গত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহাকে প্রায় ১৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেন তিনি।
অশোক দিন্দা, অনুব্রতরা যখন এই দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারীও কম যাচ্ছেন না। ভবানীপুর কেন্দ্রকে ছাব্বিশের নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের মতো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুভেন্দু অবশ্য নিজেকে ভবানীপুরে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও, বারবার বলছেন, 'ভবানীপুরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব।'