SIR নিয়ে জেলায় জেলায় হেল্পলাইন চালু করল BJP, কী সুবিধা মিলবে?ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়া সম্পর্কে সমস্যা বা উদ্বেগের সম্মুখীন নাগরিকদের সহায়তা করার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য বিজেপি। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোটারদের মধ্যে ডকুমেন্টেশন এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে উদ্বেগের খবরের কারণেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। SIR সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় সাহায্যের জন্য জেলায় জেলায় এই হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত SIR সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় সাহায্যের জন্য আপনারা নিজের জেলার হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। বিজেপির লক্ষ্য এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে জনসাধারণকে সরাসরি সহায়তা দেওয়া এবং প্রযুক্তিগত বা ডকুমেন্টেশন সমস্যার কারণে কোনও যোগ্য ভোটার যাতে ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন তা নিশ্চিত করা।
এসআইআর সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় ০৮০৬৫৯০৭৪৫৪ নম্বরে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ফোন করে সহায়তা চাওয়া যাবে। এ ছাড়াও জেলা ভিত্তিক হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলাতেই এই নম্বর চালু করা হয়েছে। এই হেল্পলাইনটিও সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই সময়ের মধ্যে নাগরিকরা তাঁদের অসুবিধা বা এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পর্কিত নানা তথ্য জানতে পারবেন। দলের এই উদ্যোগ ভোটারদের এসআইআর প্রক্রিয়াটি বুঝতে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবে। উল্লেখ্য যে পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) চালু হয়েছে।

২৭ অক্টোবর সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন যে এটি দ্বিতীয় ধাপ হবে, যা পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাত, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এই বিশেষ নিবিড় সংশোধনের উদ্দেশ্য হল ভোটার তালিকা আপডেট করা, সদৃশ নাম অপসারণ করা এবং নতুন ভোটার যুক্ত করা, যা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয়। কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে ২০০২-২০০৪ সালের পুরনো তালিকার সঙ্গে নাম মিলিয়ে কোনও যোগ্য ভোটারকে বাদ দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন ৪ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গে SIR প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যা ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ তারিখে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।