রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতার (ডিএ) ২৫ শতাংশ দিতে হবে, নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবারের এই নির্দেশের পর মাথায় হাত রাজ্য সরকারের। সেই সঙ্গে চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের মারধর। জোড়া ফলায় বিদ্ধ মমতা সরকার। শনিবার এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে ডিএ রায়
দিলীপ বলেন, "এটা প্রথম নয়। আগেও কোর্ট বহুবার বলেছে। সরকার মানেনি। বলেছে টাকা নেই। যে সরকার তার সন্তানদের ভরণ পোষণ করতে পারে না তাদের কি ক্ষমতায় থাকা সাজে? আইন আদালত মানে না। নিজের পক্ষে রায় গেলে সেটা রায়। বিপক্ষে গেলে সেই রায় মানে না। এখন মানুষকে ভাবতে হবে আলাদা আলাদা আন্দোলন হবে নাকি সরকারকে পাল্টে নিজের অধিকার বুঝে নেবেন।"
বিকাশ ভবন নিয়ে পুলিশের পাল্টা দাবি প্রসঙ্গে...
এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, "সুপ্রতীমবাবু যা বলছেন হয়তো কিছুটা ঠিক। এই সহিংস আন্দোলন রাজ্যে নতুন নয়। কিন্তু ওরা যেদিন প্রথম শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল সেদিন প্রথম কে লাথি মেরেছিল? কে লাঠিপেটা করেছিল? শিক্ষকদের লাথি মারা হল কেন? পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের বদলে লাথি মারা হচ্ছে? যুগ পাল্টে গেছে? পুলিশের এই কুযুক্তি চলবে না। এসপার ওসপার করো। কোর্ট গিয়ে সরকারের বলা উচিত এই ১৮ হাজার যোগ্য। আমরা এদের চাকরি দিতে চাই। পারবেন উনি? স্বেচ্ছাচারী সরকার। বিজেপির সঙ্গে বহু জায়গায় এই জিনিস হয়েছে। আন্দোলনে আমরা মার খেয়েছি। আবার আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এইভাবে যদি আটকে রাখা যেত তাহলে তো দেশে কোথাও সরকার পরিবর্তন হতো না।"
বিকাশ ভবনে সব্যসাচী দত্ত গেছিলেন কেন?
এই প্রশ্নে দিলীপের উত্তর, "আমার জানা নেই। তবে ওনার অভিব্যক্তিতে বোঝা গেছিল কিছুটা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওনার যা ভাষা ছিল। হতে পারে উনি ওখানকার কাউন্সিলর। তাই বলে যা ইচ্ছা করবেন? আন্দোলনকারীদের একটা সেন্টিমেন্ট আছে। তাদের উস্কে দেওয়ার কি দরকার? খবরে থাকার জন্য অহেতুক এই বিতর্ক উনি তৈরি করেছেন।"
বীরভূমে আর সভাপতি নন কেষ্ট অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডল
তৃণমূল থেকে তুলেই দেওয়া হয় এই পদ। দিলীপ বলেন, "কে সভাপতি। উনি নন সেটা তো জানি। মমতা মাঝে মাঝে বলেন এখন উনি নিজেই দেখবেন। উনি আর কি কি দেখবেন? উনি দেখলে কি হয় সেটা তো আমরা তো দেখতে পাচ্ছি।"