Dilip Ghosh on West Bengal Brand Ambassador: বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সৌরভ, দিলীপের কটাক্ষ,' চিনতে এত বছর লাগল?'

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই চমক। রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আগে থেকেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার পর্যটন বিভাগেরও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। বাংলার ছেলে সৌরভকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে এত বছর সময় লাগল কেন? এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

Advertisement
বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সৌরভ, দিলীপের কটাক্ষ,' চিনতে এত বছর লাগল?'
হাইলাইটস
  • বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই চমক
  • বাংলার ছেলে সৌরভকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে এত বছর সময় লাগল কেন? 
  • এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই চমক। রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আগে থেকেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার পর্যটন বিভাগেরও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। বাংলার ছেলে সৌরভকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে এত বছর সময় লাগল কেন? এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

সৌরভকে  ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করার প্রসঙ্গে দিলীপ
তিনি বলেন, "সৌরভকে চিনতে মমতা ব্যানার্জির এত বছর লাগল? নাকি খুঁজে পাচ্ছিলেন না? ঘর কা মুরগি ডাল বরাবর? ত্রিপুরা সরকার তাঁকে আগেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করে দিয়েছে। উনি বাংলার ক্রিকেটের জন্য এত করেছেন, তাঁকে চিনতে এতো বছর লেগে গেল? মনে হয় শাহরুখের এখন বাজার নেই। তাই সৌরভের হাত ধরে বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা।"

মাদ্রিদে মমতার সফরসঙ্গী সৌরভ
তিনি আরও বলেন, কেউ নতুন কথা কিছু বলেনি। উনিও আগে যা বলতেন তাই-ই বলেছেন। সৌরভও তাই। তাজপুর বন্দরের একটা পাথরও গাঁথা হয়নি। কে করবে? কত টাকার প্রোজেক্ট কেউ জানে না। দেউচা পাঁচামির কথা বলেছেন, এক কোদাল মাটিও খোঁড়া হয়নি। আদৌ ওর ভিতর কয়লা আছে কিনা কেউ জানে না। কোন কোম্পানি করবে? কোনও টেন্ডার হয়নি। উনি এই গল্প শুনিয়ে যাচ্ছেন। সবটাই ভবিষ্যতের গর্ভে আছে। উনি ক্ষমতায় থাকাকালীন এগুলি কিছুই হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সৌরভ যা বলেছেন, সেটাও আকাশে আছে। আগে বিনিয়োগ হোক। খালি প্রচার করে কোনো লাভ নেই। 

বাণিজ্য সম্মেলনে অনুপস্থিত আদানি এবং হীরানন্দানি। আদানির থেকে তাজপুর বন্দরের প্রসঙ্গে দিলীপের দাবি, আদানি নিয়েছিলেন কিন্তু সেখানকার মাটির ফিট সার্টিফিকেট আসেনি। আদৌ বন্দর করা যাবে কিনা, তাইই বোঝা যাচ্ছে না। জলে কে টাকা ফেলতে চায়। দেবেন কাকে? সবই তো গভীর জলে পড়ে আছে। 

বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই কি বাজিমাত করলেন মমতা? পাল্টা দিলীপের দাবি, আম্বানি বুঝে গেছেন দিদির কাছে বড় বড় কথা বললে দিদি খুশি। নাহলে বাকি যে ব্যবসা গুলো চলছে, ওগুলো চলতে দেবেন না। গত ১০ বছর ধরে দেখুন, বাণিজ্য সম্মেলনে এই একই লোকেরা আসেন, গল্প করেন। একই আশ্বাস দেন। দিদিমণি এতবার বিদেশ সফর করেছেন। কত টাকা এসেছে? বিদেশ সফর ও সামিট করতে যা খরচ, তত টাকার বিনিয়োগও হয়নি। এই একই গল্প। একই ফটো। আস্তে আস্তে এই লোক গুলোর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেউ আর বিশ্বাস করে আসেনা। শিল্প সহায়ক পরিবেশ নেই। আইন শৃঙ্খলা ঠিক নেই। জমির ব্যাবস্থা নেই। অন্যান্য হাজার সমস্যা। এখানে কেউ শিল্প করবে না। যেগুলো আছে, সেগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য তেল মারছেন। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement