Dilip Ghosh: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি। হাসিনার ইস্তফার পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, মারধর চালানো হচ্ছে। ভাঙা হচ্ছে মন্দির। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন দিলীপ।
তিনি বলেন, "আমাদের পড়শি দেশ নিয়ে সবসময় চিন্তা থাকে, কিছু গন্ডগোল হলে ওখানকার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয়, পালিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁদের হয়ে কেউ কথা বলছে না। কেউ জামাতিদের কথা বলছে, কেউ স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে। আমার ধারণা, এই যারা সমাজবিরোধী হুলিগান, তারা কারও নয়, নাহলে কীকরে পার্লামেন্ট হাউস, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি লুঠ করতে পারে? এগুলি তো নিজের দেশেরই জিনিস।"
তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, " ওই লোকেরাই ওখান থেকে এখানে যারা এসে ঢুকেছে তারা একুশের নির্বাচনের পর বিজেপির কর্মীদের বাড়ি ভেঙেছিল, আগুন লাগিয়েছিল। এরা এখন তৃণমূল দলকেও দখল করে নিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন এরা তো আমার পক্ষেই আছেন, তাই মুখ খুলছেন না। হিন্দুদের ওপর অত্য়াচারের পরও কিছু বলছেন না। উনি জানেন না, বাঘের পিঠে চরে আছেন, একদিন বাঘই তাঁর ঘাড় মটকাবে। এক দিদি গেছেন, আরেক দিদি একই পথে হাঁটছেন। ভবিষ্যৎটা যেন টিএমসি দেখে রাখে, তারা পশ্চিমবঙ্গকে কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এই আগুন থেকে কেউ বাঁচবে না।"
এ-ও বলেন, "বাংলাদেশকে যাঁরা পাকিস্তানের অধীনে রাখতে চেয়েছিল, দালালি করেছিল, রাজাকারদের হয়ে কাজ করছিল, এরা দালালি করেছিল, তা বাংলাদেশের পক্ষেও খারাপ, পাকিস্তানের জন্যও খারাপ। যারা লুঠ করার জন্য এগুলি করেছিলেন তাদের কিছু যাবে আসবে না। তবে ২০-২২ কোটি বাঙালি ভবিষ্যৎ অন্ধকার।"
গুন্ডাদের নিশানা করে তিনি বলেন, "বাংলাদেশে যখন এরকম গণ্ডগোল হয়, কেউ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে না, হুলিগানদের হাতে চলে যায়। পাকিস্তানে নির্বাচন হল গত বছর, যে পার্টি সবথেকে বেশি সিট পেয়েছে, সেই পার্টির নেতা এখন জেলে আছেন ইমরান খান। আমার মনে হয় কোনও ইসলামিক দেশে গণতন্ত্র সফল হয় না, সেটা তার প্রমাণ।"
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকালেই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন। তিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কব্জা করে নেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে লুটপাট চালায় তাঁরা। রবিবার থেকে নতুন করে আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। দেশ ছাড়তে হাসিনাকে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় দেয় সেনা। বাংলাদেশের নাগরিকদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে চাইলেও তাঁকে তা দিতে দেওয়া হয়নি। এরপর থেকেই চলে তুমুল হামলা-বিক্ষোভ।