সকাল থেকেই সাজগোজ শুরু। বিয়ের আগে হাতে শাখা-পলাও পরে নিয়েছেন হবু স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। সকালে পার্লারে গিয়ে হালকা সাজ সেরে এসেছেন দিলীপের হবু স্ত্রী। বিকেলে বৈদিক মতে বিবাহ সম্পন্ন হবে। কেমন হবে বিয়ের সাজ? এক সংবাদমাধ্যমকে নিজেই জানালেন রিঙ্কু।
এদিন রিঙ্কু জানান, বিয়েতে তিনি লাল বেনারসি পরছেন। দিলীপ নিজেই পছন্দ করে দেন সেই শাড়ি। বিয়ে মানেই বাঙালিরা লাল রঙকেই সবার আগে বেছে নেন। তার অন্যথা হয়নি রিঙ্কুর ক্ষেত্রেও।
রিঙ্কু মজুমদার বিবাহ বিচ্ছিন্না। তাঁর আগের পক্ষের এক সন্তান রয়েছে। পঁচিশ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে তাঁর। ছেলে সল্টলেকে একটি আইটি সংস্থার অফিসে কর্মরত। এক সংবাদমাধ্যমকে রিঙ্কু জানান, বিয়েতে ছেলেকে রাখব না বলে আমরা ঠিক করেছিলাম। ঘটনাচক্রে ছেলের অফিসেও আজ থেকে চারদিনের ছুটি পড়েছে। তাই ছেলে শুক্রবারই বেড়াতে চলে গিয়েছে। এই বিয়েতে ছেলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে জানিয়েছেন রিঙ্কু। ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে ইডেনে খেলাও দেখেছিলেন তাঁরা।
দিলীপের সঙ্গে প্রেমের প্রসঙ্গে রিঙ্কু বলেন, "আমি একদিন প্রশ্ন করি, আপনি বিয়ে করবেন না স্যার? উনি বলেছিলেন, না। এর ১৫ দিন পর আরও একবার বলি আপনি বিয়ে করবেন না কেন? ভাবুন তো অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা। একটা বয়সের পর সঙ্গীর দরকার পড়ে। সব কথা বাইরের মানুষকে বলতে পারে না। আত্মীয় স্বজনেরাও সরে যায়। পুরুষদের তো বন্ধু হয় না। রাজনীতিতে তো নয়ই। রাজনীতি করতে গেলে বিয়ে করাটা জরুরি। অনেক নেতা দলের বোঝা হয়ে যান। কিন্তু উনি দলের সম্পদ। লোকসভা নির্বাচনের পর খারাপ হওয়ার পর মনে হয়েছিল মানুষের ভিড় হয়তো কমে যাবে। তাই আমি মানবিক দিক থেকে মনে করি মাঝমধ্যেই ওনার সঙ্গে দেখা করা জরুরি, তাই যেতাম।"
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউটাউনে দিলীপের বাড়িতেই বসছে বিয়ের আসর। আইনি বিয়ে সম্পন্ন করা হবে। একান্তই ব্যক্তিগত স্তরে হতে চলেছে এই বিয়ে। পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতেই চার হাত এক হবে। দিলীপের বিয়ের খবর চাউর হতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।