শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সাধারণ মানুষের উপর লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। একই অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির এক্স হ্যান্ডেলেও। শুভেন্দুর অভিযোগ, নিরঞ্জনে উপস্থিত হিন্দুদের অন্য়ায়ভাবে মারধর করেছে পুলিশ। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন সমবেত লোকজনকে। একাধিকবার তিনি প্রকাশ অযোগ্য ভাষা ব্যবহার করেন। হুমকিও দেন। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের লাঠিচার্জের ভিডিও সামনে এসেছে।
এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি ও তিনি যে ক্ষুব্ধ তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর মতে, জগদ্ধাত্রী পুজোয় আনন্দ ও উন্মাদনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। পুলিশ যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিত তাহলে এমন বিশৃঙ্খলা এড়ানো যেত। কিন্তু পুলিশের তরফে সেই সবের কোনও ব্যবস্থা না করে শুধু সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনা হয়েছে।
কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথকেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে জনগণকে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। অথচ সেই পুলিশেরই উচিত ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা ও মানুশের পাশে থাকা।
বেছে বেছে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এমন অত্যাচার নামিয়ে আনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'শুক্রবার সকাল থেকেই কৃষ্ণনগরে শুরু হয় বিসর্জনের উন্মাদনা। সকালে ঘট বিসর্জনের পর সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। ঐতিহ্যশালী সাং প্রথা ও কাঁধে করে প্রতিমা নিরঞ্জন করা দেখতে হাই স্ট্রীট চত্বর থেকে রাজবাড়ী পর্যন্ত ব্যাপক ভিড় হয়। যথারীতি পুলিশের ব্যবস্থায় খামতি ছিল যার ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যাই হোক, মানুষের আবেগ কে সম্মান জানিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতো, কিন্তু মমতা পুলিশের প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে হিন্দুদের ওপর অবাঞ্ছিত, বিবেচনাহীন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা, বিশেষ করে হিন্দুদের পুজো, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবের সময়।' এখানে দেখুন শুভেন্দু অধিকারীর এক্স পোস্ট (CLICK HERE)।
এদিকে পাল্টা বিবৃতি জারি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। তাদের তরফে জানানো হয়, পুলিশের কাজে বাধা ও মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ করে। এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, 'কৃষ্ণনগরজুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। দুই দিন ধরে চলা এই শোভাযাত্রায় ২০০০রও বেশি প্রতিমা ছিল। কদমতলা ঘাটে একমাত্র বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে, যেখানে চকেরপাড়া ক্লাবের সদস্যরা মহিলা পুলিশ সদস্যদের হয়রানি করে। মারধরের চেষ্টাও চালায়। পুলিশ দুর্বৃত্তদের ছত্রভঙ্গ করতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ করে। চকেরপাড়া আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।'