দলের কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা রাজু দে। কোচবিহার-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা চকচকা অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি এই রাজু দে। এই ঘটনায় এবার গ্রেফতার করা হল কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক সুকুমার রায়ের ছেলেকে। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কোচবিহারে। বিধায়কের ছেলে সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে বিধায়কের ছেলে ও তাঁর ড্রাইভারকে পাকড়াও করে পুলিশ। এখনও বাকি দু'জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
BJP-র অভিযোগ, নিজেদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই রাজু দে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সেই দ্বন্দ্ব ঢাকতে কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক সুকুমার রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এলাকায় বাড়ছে BJP। ২০২১ ভোটের পর থেকেই সেখানে গেরুয়া দাপট। ফলে ২০২৬-এর নির্বাচনে পরিস্থিতি ঘোরাতে মরিয়া তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ কোচবিহারের ঝিনাইডাঙা এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রাজু দে। জানা গিয়েছে, কালো রঙের একটি স্করপিও গাড়ি করে দুস্কৃতিরা এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার ডান কাঁধে গুলি লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ডান কাঁধে গুলি লেগেছে। তাঁর একটি অস্ত্রপচারও হয়েছে বলে খবর। আশঙ্কামুক্ত হলেও এখনও তিনি স্থিতিশীল নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে BJP-র। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের BJP বিধায়ক সুকুমার রায় জানান, জেলা জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ওদের কর্মীরা বিভিন্ন সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা। এখানে BJP-র কেউ যুক্ত নেই। তাঁর এই বিবৃতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ছেলেকে।