গত ৫ অগাস্ট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কোচবিহারে। সেই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা ও বাদানুবাদের রেশ কাটার আগেই আরও একবার বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকেই। কোচবিহারের নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। নাজিরহাটে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ দিন সেই আক্রান্ত নেতা-কর্মীদের দেখতে যান ফালাকাটার বিধায়ক দীপা বর্মন, তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা-সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। ছিলেন মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মন এবং শীতলকুচির বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মনও। সেখানেই তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিজেপি বিধায়কদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। ভাঙচুর করা হয় দুটি গাড়িও, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে ঘটনার দিন লাটাখোলা গ্রামে বিজেপি নেতার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে সহ কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথে বিজেপির প্রতিনিধি দলের উপর তৃণমূল হামলা করে বলে অভিযোগ। বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "তৃণমূলের প্রায় হাজার খানেক মহিলা কর্মী আগে থেকেই সেখানে ছিলেন। আমরা যেতেই তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরু হয় মারধর। আমাদের লক্ষ্য করে ইট, পাথরও ছোড়া হয়।" এমনকী সামনে পুলিশ থাকলেও তারা বাধা দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়করা। মালতীর অভিযোগ, ‘পুলিশ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিল। কোনও পদক্ষেপ করেনি।
পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে তৃণমূল। নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পম্পা রায় বর্মন বলেন, ‘বিজেপি এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।’ তৃণমূল কোনও হামলা করেনি বলেও দাবি তাঁর।
এর আগে মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা হয় কোচবিহারেরই খাগড়াবাড়িতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশ দ্রুত শুভেন্দুর কনভয়কে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়, না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারত। যদিও সেই ঘটনার দায় নিতেও অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।