মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী।-গ্রাফিক্স: শুভঙ্কর মিত্রবিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপির জয় গেরুয়া শিবিরকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। এনডিএ দল বহুমত প্রাপ্তির পথে এগোচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই বাংলায় শাসন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, 'এই হাল মমতারও হবে। নন্দীগ্রামে হেরেছিল, এবার ভবানীপুরেও হারবে। বাংলায় স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তৃণমূল কখনও টিকে থাকতে পারত না।' শুভেন্দু আশা প্রকাশ করেছেন, জনগণ উন্নয়নের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, 'বিহারের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এখানে আর নৈরাজ্যের সরকার চলবে না। বিহারের যুবসমাজ খুবই বুদ্ধিমান। এই জয় উন্নয়নের জয়। আগামী বছর বাংলায়ও আমরা সরকার গড়ব।' তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলার বর্তমান সরকার বাইরের শক্তির মদতে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে, কিন্তু এবার জনগণ সত্যটা বুঝবে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ জয়সওয়ালও আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, 'এনডিএ এবার বহুজনমত পেতে চলেছে। আমরা আবার সরকার গড়ছি। বিজেপির সব নেতারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি, জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিংসহ সকলের প্রচেষ্টার ফলে জয় নিশ্চিত হয়েছে। আমাদের স্লোগান ছিল ‘দুহাজার পচ্চিশ, ফির একবার নীতীশ’।'
বিহারের ফলাফলের এই ধারা শুধুমাত্র রাজ্যেই নয়, প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও আলোড়ন তৈরি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপির বিজয় বাংলার জন্য একটি মানসিক প্রভাব তৈরি করছে এবং আগামী নির্বাচনে রাজ্য শাসনের জন্য গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। তবে তৃণমূলের দৃঢ় অবস্থান এবং জনমতের বিভাজন এই লড়াইকে বহুমুখী এবং উত্তেজনাপূর্ণ রাখছে।