মাঝনদীতে হঠাৎ করে চড়ায় আটকে গেল নৌকা। আর বউকে কোলে তুলে পার করলেন যুবক। সুন্দরবনের কুমির ভর্তি জলে এই ধরনের দৃশ্য সত্যিই ভালোবাসার আসল প্রতীক। সুন্দরবনের বিদ্যাধরী নদীতে এই ঘটনা ঘটে। আর এই নদী যে কুমিরে ভর্তি সে কথা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অজানা কিছু নয়। সেই নদীতে চড়ায় আটকে যায় নৌকা। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা থেকে নদীতে নেমেই পাড়ে হেঁটে আসতে শুরু করেন যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, মাঝ নদীতে চড়ায় আটকায় ভুটভুটি। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ সুন্দরবনের বিদ্যাধরী নদীতে গোসাবা গদখালির মধ্যে খেয়া পারাপারের সময় আচমকা নদীতে অনেক জল নেমে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটে। মাঝ নদীতে জেগে ওঠা চড়ায় আটকে যায় গদখালি থেকে গোসাবাগামী ও উল্টোদিক থেকে গদখালী থেকে আসা একের পর এক ভুটভুটি। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মাঝিরা জানান, অন্তত দু থেকে আড়াই ঘণ্টা আটকে থাকতে হবে নদীতে। আর সেই কারণে অনেকেই মাঝ নদীতে ভুটভুটি থেকে নেমে কূলে ফেরার চেষ্টা করেন।
এরই মধ্যে দেখা যায় এক দম্পতিকে, যারা নিজেরাও একইভাবে নৌকা থেকে নদীর জলে নেমে ডাঙায় ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই ছবিটা একটু আলাদা, স্ত্রীর জলে ভয়, সাঁতার জানেন না। তাই মাঝনদীতে স্ত্রীকে নামাতে চাননি স্বামী। তাই স্ত্রীকে কার্যত কোলে তুলে নিয়ে নদী পার করান ওই ব্যক্তি। সেই দৃশ্য অনেকেই নিজের নিজের মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেন। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার কটালের সময় এরকম ভাবেই সমস্যায় পড়তে হয় নৌকার যাত্রীদের। মাঝিদের দাবি, কোটালে যেমন জোয়ারের জল বাড়ে তেমনি ভাটার সময় জল অনেকটাই কমে যায়। আর সেই কারণেই বিপদে পড়তে হয়। এই সময় জলের স্রোতও খুব জোরে থাকে। কিন্তু অনেক যাত্রীই বিপদের ঝুঁকি নিয়ে মাঝ নদীতে নেমে বাকি পথ হেঁটে নদী পারাপার করেন।
রিপোর্টারঃ প্রসেনজিৎ সাহা