Cooch Behar: শ্মশানে নিয়ে যেতেই নড়েচড়ে উঠল মৃতদেহ, চাঞ্চল্য কোচবিহারে

Cooch Behar: অবাক কাণ্ড কোচবিহারে। শ্মশানে জেগে উঠল মৃতদেহ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে ফের মৃত বলেই ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সোমবার কোচবিহারে ঘটেছে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণার পরে দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।

Advertisement
শ্মশানে নিয়ে যেতেই নড়েচড়ে উঠল মৃতদেহ, চাঞ্চল্য কোচবিহারেশ্মশানে যেতেই নড়ে উঠল মৃতদেহ
হাইলাইটস
  • জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণার পরে দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।

অবাক কাণ্ড কোচবিহারে। শ্মশানে জেগে উঠল মৃতদেহ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে ফের মৃত বলেই ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সোমবার কোচবিহারে ঘটেছে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণার পরে দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। সেখানেই হঠাৎ নড়ে ওঠে মৃতদেহ। সোমবার দুপুরে ওই মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনদের এই দাবিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল ছড়ায় এলাকায়।

গুড়িয়াহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটাকুড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন প্রদীপ সরকার। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, এই মাসের শুরুতে বছর চল্লিশের প্রদীপ সরকারের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হয়ত। সেই কারণে গত ১ অক্টোবর কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সোমবার সকালে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রদীপের মৃত্যুর পরে তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা সৎকারের জন্য দেহ শ্মশানে নিয়ে যান। তাঁদের দাবি, সেখানেই আচমকা নড়ে ওঠে প্রদীপ সরকারের মৃতদেহ। এই ঘটনায় হুলুস্থুলু পড়ে যায় এলাকায়। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে গুজব, জীবিত মানুষকে কি মৃত ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল? দ্রুত প্রদীপের দেহ নিয়ে ফের হাসপাতালে ছোটেন সকলে। যদিও হাসপাতালেও তাদের হতাশ হতে হয়। প্রদীপের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে চিকিৎসকরা তাঁর দেহের ইসিজি করেন। সেখানেই প্রদীপের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এমএসভিপি সৌরদীপ রায় বলেন, “মৃত্যুর পর প্রথম কয়েক ঘণ্টায় শরীরে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে কখনও কখনও পেশি নড়ে ওঠে। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘রাইগর মর্টিস’ বলা হয়। এটা খুবই স্বাভাবিক।” তাঁর মতে, “এই কারণেই সাধারণত হাসপাতাল মৃত্যু-পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টা দেহ পর্যবেক্ষণে রাখে। কিন্তু এখানে এক ঘণ্টার মধ্যেই দেহ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।

পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল যথাযথ সময় অপেক্ষা না করেই দেহ তুলে দেয়, যা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

রিপোর্টারঃ রাজেন প্রধান
 

POST A COMMENT
Advertisement