বীরভূমের নানুর বিধানসভা এলাকায় শাসক দলের এক পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়িতে রাতভর বোমাবাজির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। অভিযোগ, বাইক র্যালি করে এসে দুষ্কৃতীরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বোমাবাজি করে থুপসরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ জামালের বাড়িতে। ঘটনায় এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
শেখ জামালের অভিযোগ, 'স্থানীয় দুষ্কৃতীরা এলাকায় আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে। সেই কারণেই টার্গেট করা হচ্ছে আমায়। বিকেল থেকেই সন্দেহজনক কয়েকজনকে বোমার থলি নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়, তাদের ছবি আমাদের কাছে রয়েছে।'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি শুরু করে। টানা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে থুপসরা এলাকা। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পৌঁছায় নানুর থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিরোধী দলগুলির প্রশ্ন, যেখানে শাসক দলেরই নেতার বাড়ি নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ? এই প্রশ্ন তুলেই তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। তবে শাসক দলের তরফে এই ঘটনার নিন্দা করে জানানো হয়েছে, দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় জেলা সভাপতির পদ তুলে দিয়ে কোর কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম জেলা। এই জেলাতেই সম্প্রতি লাভপুর, নানুর-সহ একাধিক এলাকায় একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনা প্রশাসনিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দলেরই এক উপপ্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় যে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বেড়েছে, তা মানছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় এখনও টান টান উত্তেজনা, নজর প্রশাসনের পদক্ষেপে।
রিপোর্টারঃ শান্তনু হাজরা