Burdwan Medical College: ইঞ্জেকশন দিতেই জ্বর-খিঁচুনি একাধিক প্রসূতির? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আতঙ্ক

সোমবার রাতে হঠাতই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একাধিক প্রসূতি। অসুস্থদের পরিবারের অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশন থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। এঁরা প্রত্যেকেই হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ছিলেন।

Advertisement
ইঞ্জেকশন দিতেই জ্বর-খিঁচুনি একাধিক প্রসূতির? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আতঙ্ক

সোমবার রাতে হঠাতই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একাধিক প্রসূতি। অসুস্থদের পরিবারের অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশন থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। এঁরা প্রত্যেকেই হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ছিলেন।

পরিবারের দাবি, সন্তানের জন্মের পর সকলেই সুস্থ ছিলেন। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় তিনটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ঠিক তারপরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। কারও শরীরে কাঁপুনি, কারও জ্বর আসে। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠালেও রোগীদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রসূতিদের একাধিক ইনজেকশন দেওয়ার পর তাঁদের জ্বর ও কাঁপুনি শুরু হয়। বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ভিতরে ঢুকতে গেলে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দেন। এতে উদ্বেগ আরও বাড়ে। পরিবারের দাবি, সিজারের পর খালি পেটে থাকা অবস্থায় পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন দেওয়াতেই এমন হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইঞ্জেকশনের পর ‘অ্যালার্জিটিক’ সমস্যা হয়েছে। সাত জন প্রাথমিকভাবে অসুস্থ হলেও পরে তাঁরা অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, 'কোনও এলার্জির কারণে কিছু ঘটতে পারে। তবে সকলেই সুস্থ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

উল্লেখ্য, জানুয়ারির গোড়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যালে সন্তান প্রসবের পর পাঁচ মহিলা অসুস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, স্যালাইন দেওয়ার পরই তাঁদের সমস্যা শুরু হয়। এক প্রসূতির মৃত্যু ও এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের কারণেই এমন হয়েছিল বলে দাবি উঠেছিল। 

POST A COMMENT
Advertisement