উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে ঘুরতে গেলে ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে থাকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। সম্প্রতি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে বাঘেদের খাদ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে ১০৪টি চিতল হরিণ মুক্ত সেখানে নিয়ে গিয়েছে বন দফতর। গত ১৭মার্চ বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বক্সার জঙ্গলে ৮৬ টি চিতল হরিণ আনা হয়েছিল। এই নিয়ে গত তিন বছরে ৭০০ টিরও বেশি চিতল হরিণ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। আর এর মাঝেই জারি হল ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির নয়া ফরমান। এই ফরমান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাঘ সংরক্ষক সংস্থার নির্দেশ মেনে প্রত্যেক সপ্তাহে মঙ্গলবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এনটিসিএ বা ন্যাশনাল টাইগার কনসার্ভেশন অথরিটির অন্তর্ভুক্ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পও এবার থেকে সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকবে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বহু পর্যটক আসেন, পাশাপাশি পর্যটকরা কার-সাফারিও করেন। মানুষের কোলাহল থেকে বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের একটা দিন অব্যহতি দিতেই ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির ওই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য বনদফতর থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডাইরেক্টর অপূর্ব সেন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সপ্তাহে একদিন বক্সা জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এমনকি সেদিন সাফারি থেকে শুরু সব কিছু বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, শুধুমাত্র বক্সা এলাকার যারা বাসিন্দা তারা ভিতরে থাকতে পারবেন। আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে লাগু হবে ওই নিয়ম। দেশের অন্যান্য ব্যাঘ্র প্রকল্পে বহু দিন ধরেই ওই নিয়ম চালু থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প।