Calcutta High court: জাল পাসপোর্ট মামলায় বাংলাদেশি দম্পতির জামিনের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা এক দম্পতির বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট বানানোর অভিযোগ। সেই মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন বাংলাদেশিদের ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।

Advertisement
জাল পাসপোর্ট মামলায় বাংলাদেশি দম্পতির জামিনের আবেদন খারিজ হাইকোর্টেফাইল চিত্র।
হাইলাইটস
  • ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা এক দম্পতির বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট বানানোর অভিযোগ।
  • সেই মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
  • পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা পেশায় নাপিত দুলাল শীল ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না শীলকে জাল পাসপোর্ট করে ভারতে আসার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা এক দম্পতির বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট বানানোর অভিযোগ। সেই মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন বাংলাদেশিদের ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।

পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা পেশায় নাপিত দুলাল শীল ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না শীলকে জাল পাসপোর্ট করে ভারতে আসার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১৩ মাস ধরে পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আইনজীবীর দাবি, ২০১০ সালে ওই দম্পতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে পূর্ব বর্ধমানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের ভারত সরকার প্রদত্ত আসল আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড রয়েছে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে তাঁরা বাড়িও পেয়েছেন। তারপরও পুলিশ বিনা কারণে তাঁদের গত এক বছর এক মাস ধরে নকল পাসপোর্ট থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে রেখেছে বলে অভিযোগ।

জামিনের আবেদন করে দুলাল শীল এবং স্বপ্না শীল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।

সেখানেই বিচারপতি দেবাংশু বসাক মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, এদেশে আসা সব বাংলাদেশিদের কাছেই ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড আছে। আপনি ইনকাম ট্যাক্স দেন কি না জানি না, কিন্তু ওই সমস্ত বাংলাদেশিরা সকলেই ইনকাম ট্যাক্সও দেন। জাল পাসপোর্ট বানিয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশিদের অনেকের কাছেই এইরকম আধার কার্ড, ভোটার কার্ড রয়েছে। দেখছেন না, আমেরিকাও তো অবৈধভাবে থাকার অভিযোগে আমাদের দেশের কতজনকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে! তাই, তাতে কিছু প্রমাণ হয় না। তাঁরা যে ভারতের প্রকৃত নাগরিক, সেই প্রমাণপত্র বা সরকারি নথি নিয়ে আসুন, আমি জামিন দিয়ে দেব।

যদিও মামলাকারীর আইনজীবীদের দাবি, সেই সরকারি নথি তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর মক্কেলরা বৈধভাবেই ভারতে রয়েছেন এবং ভারতের নাগরিক। তাঁরা কোনও জাল পাসপোর্ট তৈরি করেননি। তাঁদের মক্কেলরা কোনও ফরেন সিটিজেনশিপ অ্যাক্টের আওতায় পড়েন না। ২০১৯ সালে ভারত সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফরেন সিটিজেনশিপ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের সেকশন-২ অনুযায়ী ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বরের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা কেউ ফরেন সিটিজেনশিপ অ্যাক্টের আওতায় পড়বে না।যদিও বিচারপতি তাঁদের কোনও যুক্তি শুনতে রাজি হননি।

Advertisement

সংবাদদাতা- মানস নস্কর

POST A COMMENT
Advertisement