মুকুল রায়মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর পদ খারিজ হয়। বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন তিনি। পরবর্তীতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তবে তাঁর বিধায়ক পদটি বহাল ছিল। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করতে লড়ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।চারবছর ধরে আইনি লড়াই লড়ছিলেন। এরপর কাদের বিধায়ক পদ বাতিল হতে চলেছে? জানান বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, "এবার পালা আলিপুরদুয়ারের সুমন কাঞ্জিলাল, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, হলদিয়ার তাপসী মণ্ডলের। এবার এঁদের বিরুদ্ধেও আমরা আদালতে যাব।" তাঁর দাবি, "দলে থাকতে চাইলে পদত্যাগ করে যান।"
তাঁর মন্তব্য, 'সংবিধানের জয় হয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি। লম্বা লড়াই করেছি আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংবিধানের আইন লঙ্ঘন হয়েছিল। কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে, মিথ্যে মামলায়, টাকা দিয়ে অনেক বিধায়ককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাকিদের বিরুদ্ধেও আমরা আদালতে যাব। উনি সংবিধান মানেননি। চার বছর লড়াই করে বিজেপি করে দেখিয়েছে। আমি শুভেন্দু অধিকারীও বিধায়ক ও মন্ত্রীত্ব ছেড়ে সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিজেপিতে গিয়েছিলাম।'
প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছাড়ার পর ২০১৯-র লোকসভা ও ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে নেতৃত্ব দেন মুকুল ৷ একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জয়ী হন তিনি ৷ তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্য়ায়কে পরাজিত করেন ৷ এরপর ওই বছরই ১১ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদের উপস্থিতিতে পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে মুকুল রায়ও তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন ৷
একই বছর ২৫ জুন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি-র সদস্য নির্বাচিত করেন ৷ পরে ৯ জুলাই বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কে পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হয় ৷ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেতা অম্বিকা রায় ৷ দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি চলছিল৷
খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও তৃণমূলে ছিলেন মুকুল। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শয্যাশায়ী হওয়ায় রাজনীতি থেকে বিরতি নিয়েছেন তিনি।