
চাকরি বাতিল হওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেলন এক শিক্ষিকা। সুইসাইড নোট লিখে চরম পদক্ষেপ নেন শিক্ষিকা রুম্পা সিং। ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনি হাই স্কুলের ইতিহাস পড়াতেন তিনি। ২০১৬ সালের প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে একাই থাকতেন ক্যানিংয়ের নবপল্লি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই, রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর মতো তাঁরও জীবনে গভীর অন্ধকার নেমে আসে। সরকারি চাকরি চলে গিয়ে নিমেষে ওলটপালট হয়ে যায় তাঁর জীবন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের নির্দেশ আসার পরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রুম্পা। এরই মধ্যে বাড়ির মালিক হঠাৎ বুঝতে পারেন, কিছু সমস্যা হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় ঘরে গিয়ে দেখেন, অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন রুম্পা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে নিজের সমস্যার কথা লিখেছেন তিনি। কী কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন রুম্পা।
সুইসাইড নোটে রুম্পা লিখেছেন, বহু কষ্ট ও পড়াশোনার পর তিনি সরকারি শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর বৈবাহিক জীবনে স্বামীর সঙ্গে অশান্তির কারণে অবসাদের উল্লেখও করেন। তাঁর চাকরি হারানোর ঘটনায় তাঁর উপর পাওনাদাররা চাপ সৃষ্টিও করছিলেন বলে দাবি করেছেন রুম্পা।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই রায়ের ফলে তাঁদের জীবনে চরম অনিশ্চয়তা নেমে এসেছে।
শিক্ষাজগতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রুম্পা সিং-এর ঘটনা সেই অনিশ্চয়তারই এক করুণ প্রতিচ্ছবি।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ধর্মতলায় অবস্থানকারী চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেন bangla.aajtak.in-এর প্রতিনিধিরা। দেখুন কী বলছেন তাঁরা: