সন্দেশখালিতে অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার করল সিবিআই ও এনএসজি (ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড)। শেখ শাহজাহানের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মিলেছে দেশি-বিদেশি বন্দুক, গুলি ও বোমা। সেই ছবিও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যে ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের দাবি, রোবট নিয়ে পরিকল্পিত চক্রান্ত।
ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার তদন্তে গিয়ে প্রচুর অস্ত্রের হদিশ পায় সিবিআই। তার পর ডাকা হয় এনএসজি-কে। রোবট নিয়ে ওই জায়গায় তল্লাশি চালান এনএসজি কম্যান্ডোরা। উদ্ধার হয়েছে তিনটি বিদেশি রিভলবার, একটি দেশি রিভলবার, ১ কোল্ট পুলিশ রিভলবার, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশি পিস্তল, ১২০টি ৯ এমএম বুলেট, ৫০টি পয়েন্ট ৪৫ ক্যালিবার কার্তুজ,১২০টি ৯ এমএম ক্যালিবার কার্তুজ, ৫০টি পয়েন্ট ৩৮০ কার্তুজ, ৮টি পয়েন্ট ৩২ কার্তুজ। এর পাশাপাশি শেখ শাহাজাহানের নানা নথি এবং সন্দেহজনক দেশি বোমা উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়ায় অভিযান শুরু করে সিবিআই। এলাকার এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজ মেলে বলে খবর। দুপুরের পর সেই এলাকায় নামলেন এনএসজির কম্যান্ডোরা। যে বাড়িতে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ মিলেছে সেই বাড়িটি ঘিরে ফেলেছে এনএসজি। সেই বাড়ির আশপাশে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে এনএসজি-র তরফে। বোমা, গোলা-বারুদ থাকতে পারে এই আশঙ্কায় সেখানে নামানো হয় রোবট। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেখানে প্রচুর অস্ত্র ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে। সেই বাড়ির মাটির তলায় বিদেশি বন্দুকও ছিল। সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
CBI recovered a large number of arms and ammunition including foreign-made Postal & Revolvers during searches at Sandeshkhali in a case related to violence against Enforcement Directorate (ED) officials.
During searches, the following articles have been recovered:-
3… https://t.co/gJy0j3BNjj pic.twitter.com/6hpEI5BSkLআরও পড়ুন
— ANI (@ANI) April 26, 2024Advertisement
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'পশ্চিমবঙ্গ শেখ শাহজাহানদের মতো সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'। তার পাল্টা কুণালের বক্তব্য,'সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিত চক্রান্তে অতিনাটকীয় কাজকর্ম করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে দিল্লি'।