Bengal Medical News: রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক। আরও ভাল চিকিৎসা প্রয়োজন। এমন ক্ষেত্রে জেলা বা স্থানীয় হাসপাতালগুলি কলকাতার বড় হাসপাতালে রোগী রেফার করে দেয়। আর সেটা নিয়েই চূড়ান্ত জলঘোলা হয়। সেই বিভ্রান্তি এড়াতেই 'সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমে'র দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ১০ দফা দাবির মধ্যে এটিও ছিল। তাঁদের কথা মেনে সেই ব্যবস্থাই করছে রাজ্য।
নিউজ এইট্টিন বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা এই বিষয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই এই 'সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম' নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর প্রাথমিকভাবে এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে পাইলট ট্রেনিং হিসাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার হাসপাতালগুলিতে এটি চালু করতে চলেছে রাজ্য়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই জেলায় জনসংখ্যাও অনেক, তাছাড়া এখান থেকে প্রায়শই রেফারেল হয়। ফলে এখানে সফলভাবে রেফারেল সিস্টেম চালু হলে, পরে তা অন্য জেলায় সেই পদ্ধতিতে লাগু করা যাবে।
এতে লাভ কী?
১. একেবারে লিখিত নথি থাকবে যে, কোনও রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে কেন রেফার করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই সেটার উল্লেখ করতে হবে। ফলে দায় ঝেড়ে ফেলার প্রবণতা থাকবে না। অন্যদিকে বড় হাসপাতালে অযথা রোগীর চাপও কমতে পারে।
২. রোগীর পরিবার সঠিক কারণটা জানতে পারবেন। ঠিক কী কারণে বড় হাসপাতালে, বা অন্য হাসপাতালে তাঁদের রোগীকে নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে, তা বুঝতে পারবেন তাঁরা।
৩. একটি সেন্ট্রালাইজড লাইভ ডেটাবেস থাকবে। এর ফলে কোন হাসপাতালে কোন বেড খালি, কোথায় কতজন রোগী নেওয়া যাবে, কেন কোনও রোগীকে রেফার করা হল, পুরোটাই হাসপাতালের অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের নখদর্পণে থাকবে। এতে অনেক অযথা সময় নষ্ট ও হয়রানি এড়ানো যাবে।
৪. কোথায় কোন বেড খালি আছে, তা জানা থাকলে, কলকাতার বড় হাসপাতালের তুলনায় জেলার বড় হাসপাতালেও রোগী রেফার করা যাবে। এতে সঙ্কটজনক অবস্থার রোগীকে নিয়ে দীর্ঘ সময় অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার সমস্যাও কমবে।
অন্য দেশেও আছে
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, কিছু-কিছু দেশে এই বিশেষ সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম আছে। যেমন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় এর নাম 'সেন্ট্রাল রেফারেল সার্ভিস'(CRS)। এটি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া পাবলিক হেলথ সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।